কর্পোরেট ডেস্ক : ১ হাজার ও ৫০০ রুপির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই ভারতের ব্যাংক ও এটিএম বুথগুলোতে রুপি সংকট দেখা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ মজুদ আছে। বিবিসিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, রাজধানী দিল্লি ও মুম্বাই নগরীর কিছু ব্যাংক সংকটে পড়ে ইতোমধ্যে রুপি বিনিময় বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে কিছু কিছু ব্যাংকে গ্রাহকদের সেবা দিতে কাজের সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সামনে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন গ্রাহকেরা। নিষিদ্ধ ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাত থেকেই ব্যাংক ও এটিএম বুথগুলোতে রুপি বিনিময় শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বিনিময় করতে ব্যাংকগুলোর সামনে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করছেন গ্রাহকেরা। এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৫০০ ও ১০০০ মূল্যমানের ১১ লাখ রুপি রয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের কাছে আছে ৪ লাখ রুপি। এছাড়া অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংকের কাছে আছে ৩ লাখ রুপি করে। বাকি এক লাখ আছে জনতা ব্যাংকের কাছে। এই নোট ভারতকে ফেরত দেবে বাংলাদেশ। জনতা, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক তাদের কাছে থাকা রুপি জমা দেবে সোনালী ব্যাংকের কাছে। এরপর সোনালী ব্যাংক শিলিগুড়ি শাখার মাধ্যমে এই অর্থ এক্সচেঞ্জ করবে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে সোনালী ব্যাংককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাতিলকৃত ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বিনিময় (এক্সেচঞ্জ) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। তবে অবৈধ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের কাছে যদি রুপি থেকে থাকে- সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু করণীয় নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কোনো ব্যাংক, মানি চেঞ্জার ও ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অর্থ থাকলে তা বাংলাদেশে বসেই পরিবর্তন করা সম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন