আগামী নভেম্বর মাসে পর্দা উঠবে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ ২০২২ কাতারে। বিশ্বের ২৯ দল নিশ্চিত করেছে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার ড্র। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনীদেশ কাতার। একে একে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম। তবে ভেন্যু তৈরিতে দৃষ্টিকটু দৃশ্যের জন্ম দিচ্ছে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, স্টেডিয়াম নির্মাণে শ্রমিকদের অত্যাচার করা হচ্ছে। অভিবাসী শ্রমিকদের জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। ক্রীড়া বিষয়ক ইংলিশ দৈনিক গোল ডট কম এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি তুলে ধরেছে।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দেখেছে, কাতারে কাজ করা নিরাপত্তাকর্মী, যাদের মধ্যে ২০২২ বিশ্বকাপের প্রকল্পের লোকও আছেন, তাদের শ্রম দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
কাতারে ৮টি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ৩৪ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মীর মন্তব্য নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শ্রমিকদের সবাই অভিবাসী। তারা জানিয়েছেন, দিনে ১২ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিনই কাজ করতে হতো তাদের। মাসব্যাপী এমনকি বছরেও কোনো ছুটি পেতেন না তারা। শ্রমিকদের দাবি, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাপ্তাহিক ছুটি দিতে রাজি হতেন না। ছুটি কাটালে বেতন কর্তন করা হতো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আর্থিক ও সামাজিক বিচার বিভাগের প্রধান স্টেফান ককবার্ন বলেছেন, আমরা যেসব অত্যাচার দেখেছি, এর পেছনে কাতারে অভিবাসী কর্মী ও চাকরিদাতাদের মধ্যে ক্ষমতার বিশাল পার্থক্যই প্রভাব ফেলেছে। এর অর্থ কর্তৃপক্ষ এখনো শ্রমিক আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা যেসব নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সবাই জানতেন চাকরিদাতারা নিয়ম ভঙ্গ করছেন। কিন্তু এর প্রতিবাদ করার ক্ষমতা ছিল না তাদের। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত কর্মীরা প্রতিদিন কাজে উপস্থিত হতেন। তা না করলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হতো। চুক্তি বাতিল বা দেশে ফেরত পাঠানোর ভয়ও দেখানো হতো। ককবার্ন আরো বলেন, বিশ্বকাপের জন্য বেসরকারি খাতের চাহিদা বেড়েছে। চাকরিদাতারা এখনো প্রকাশ্যে শ্রমিকদের শোষণ করছে। বিশ্বকাপ আর মাত্র কয়েক মাস দূরে, ফিফাকেও এমন অত্যাচার ঠেকাতে নজরদারি বাড়াতে হবে। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন