নওগাঁও মহাদেবপুর স্কুল শিক্ষার্থীদের হিজাব পড়ায় মারধোর ও হেনস্তার ঘটনা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। হিন্দু শিক্ষিকা আমোদিনি পাল মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাঁধা দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। অবিলম্বে আমোদিনি পালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে কেউ এধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহসও না পায়। বৃহস্পতিবার নওগাঁও মহাদেবপুর উপজেলায় হিজাব পরে স্কুলে আসায় ১৮ জন ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঃ মহাদেবপুর স্কুলে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীকে পিটানোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, হিজাব হলো মুসলিম নারী তথা ইসলামী সংস্কৃতি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে হিজাব পরার কারণে মহাদেবপুর স্কুলের শিক্ষিকা আমোদিনি পাল মুসলিম ছাত্রীদেরকে পিটিয়েছে এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে। ছাত্রীদের সাথে এমন আচরণ করার সাহস কোথায় থেকে পেলো তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে আমোদিনি পালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে কেউ এধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহসও না পায়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঃ মহাদেবপুর উপজেলায় হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ায় ১৮ জন ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ । দলের প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, হিজাব ইসলামের অলঙ্ঘনীয় বিধান। ধর্মীয় বিধান পালনে বাঁধা দেয়ার অধিকার কারোর নেই। এই হিন্দু শিক্ষিকা আমোদিনি পাল মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাঁধা দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। যা ধর্ম অবমাননা ও দেশের সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। এ জঘন্য অপরাধের দায়ে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষকতার পথ থেকে অপসারণ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি,নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্মসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ও মাওলানা আবুল হাসান কাসেমী ।
খেলাফত মজলিস ঃ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার হিজাব পরিধানের কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ১৮ ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, হিজাব বা পর্দা পালন করা মুসলিম নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক বিধান। আল্লাহ দেয়া এই অলঙ্ঘনীয় বিধানের বিরুদ্ধে যে কারো অবস্থান মুসলমানরা মেনে নিবে না। কী কারণে হিজাবী ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলা এবং বিদ্বেষ প্রদর্শন করা হলো তার কারণ প্রশাসনকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং দোষী স্কুল শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন