খুলনা টাইটান্স ঃ ১২৭/৭ (২০.০ ওভারে)
চিটাগাং ভাইকিংস ঃ ১২৩/৯ (২০.০ ওভারে)
ফল ঃ খুলনা টাইটান্স ৩ রানে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : শেষ ওভার থ্রিলারে রাজশাহী কিংসকে কাঁদিয়েছেন বোলার মাহামুদুল্লাহ। শেষ ৬ বলে ৭ রানের সেই টার্গেটে অফ স্পিনার মাহামুদুল্লাহ’য় ছিন্ন ভিন্ন রাজশাহী কিংস। ৭২ ঘন্টা আগের সেই অবিশ্বাস্য কৃতি বাসি হতে না হতে আরো একবার শেষ ওভার থ্রিলার। এবারো শেষ ৬ বলে চিটাগাং ভাইকিংসের ৬ রানের অতি সহজ টার্গেট দুরূহ করে দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে খুলনা কিংসকে হাসিয়েছেন সেই মাহামুদুল্লাহ ! অবধারিত হার ধরে নিয়ে শেষ ওভারে বল হাতে নিয়েছিলেন তুলে মাহামুদুল্লাহ। চিটাগাং ভাইকিংসকে স্বপ্ন দেখানো ৪৫ রানের ৭ম জুটি (মোহাম্মদ নবী-চাতুরঙ্গা সিলভা) ভেঙ্গে দিয়ে খুলনা টাইটান্স সমর্থকদের নড়েচড়ে বসার উপলক্ষ এনে দিয়েছেন, শেষ ২ বলে রাজ,নবীর উইকেট শিকার করে খুলনা টাইটান্সকে উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক ৩ রানের অবিশ্বাস্য জয়! টি-২০ তে ব্যাটিং বিনোদন পেতে আসেন যারা, বোলিংয়েও যে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারেনÑ তার আদর্শ দৃষ্টান্ত হতে পারেন মাহামুদুল্লাহ।
মাত্র ২ দিন আগে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৪৪ রানে অল আউটের লজ্জায় মুষড়ে পড়ার কথা যাদের, ৪৮ ঘন্টা পর সেই খুলনা টাইটান্সই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ! কি হয়নি এই ম্যাচে। শততম টুয়েন্টি-২০ ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংস আফগান অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী করেছেন দারুণ বোলিং (৩/২২)। ছন্দ ফিরে পাওয়া পেস বোলার তাসকিনও হয়েছেন প্রশংসিত (২/১৭)। প্রথম পাওয়ার প্লেতে রিকি ওয়ালেশের চাবুক চালানো ব্যাটিংয়ে (১৭ বলে ২৮) ৬ ওভার শেষে খুলনার স্কোর ৪২/২। তাতে রান পাহাড়ে চাপা পড়ার ভয়টাই ছিল চিটাগাং কিংসের। সেখান থেকে রানের লাগাম টেনে ধরে খুলনাকে ১২৭/৭ এ বেঁধে ফেলে চনমনে থাকারই কথা চিটাগাং ভাইকিংসের। অথচ, হয়েছে উল্টোটা। ইনিংসের শুরুতে শুভাগতহোম, জুনায়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং, ইনজুরি কাটিয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে উইন্ডিজ পেসার কেভন কুপারের চেনা রূপ ব্যাকফুটে নামিয়ে এনেছে চিটাগাং ভাইকিংসকে। সাকিবের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলএ উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন এদিন কুপার তামীমকে শিকারে। চিটাগাং ভাইকিংসের দুই ওপেনারকে শিকারে (২/১৭) বিপিএলে শিকার সংখ্যা তার ৩০ ম্যাচে ৫১ উইকেট। টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে এদিন সেরা বোলিংয়ে (৪/২৮) শফিউল চিনিয়েছেন নিজেকে। প্রথম স্পেলটি এক কথায় অসাধারণ (৩-০-১৪-৩) এই পেস বোলারের। লো স্কোরিং ম্যাচে ১২ চেজ করতে এসে শেষ ৩০ বলে চিটাগাং কিংসের টার্গেটটা যখন ৫০ রান, তখন খুলনা টাইটান্সের ডাগ আউটে থাকা হাসি মুখগুলো উঠেছে টিভি পর্দায় ভেসে। সেখান থেকে চাতুরঙ্গা সিলভা-নবীর মরণকামড়ে ২৫ বলে ৪৫ রান জয়ের খুব কাছাকাছিই পৌঁছে দিয়েছিল চিটাগাংকে।
তখন কে জানতো শেষ ওভার থ্রিলারটা করছে অপেক্ষা ? ৬ বলে ৭Ñরাজশাহী কিংসের লক্ষ্যটা যখন এতো সহজ, তখন তাদের বাড়াভাতে ছাই ছিটিয়ে দিয়েছেন মাহামুদুল্লাহ! অবিশ্বাস্যভাবে শেষ ওভারে লং অফে আবুল হাসান রাজুকে ক্যাচে বাধ্য করে শুরু তার ম্যাজিক ওভার, পরের লো বাউন্সি ডেলিভারীতে ড্যারেন স্যামী বোল্ড ! শেষ বলে লক্ষ্যটা যখন ৪ রান, তখন ডাউন দ্য উইকেটে নাজমুল অপুকে খেলতে প্রলুব্ধ করে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ৩ রানের অবিশ্বাস্য জয়ে খুলনা কিংসকে ভাসিয়েছেন উৎসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন