শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকারের লিভ টু আপিল মঞ্জুর

মুক্তিযোদ্ধার জমি অধিগ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঢাকাস্থ মগবাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।

রিট পিটিশনের তথ্য মতে, ১৯৪৫ সালে বীরেন্দ্রনাথ রায় তার সাড়ে ১৯ কাঠা জমির আমমোক্তার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দিয়ে যান স্থানীয় সিরাজুল হককে। ২০ বছর পর ১৯৬৫-৬৬ সালে এ জমির খাজনা দিয়ে নিজের নামে নামজারি (মিউটেশন) করান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক। পরবর্তীতে খাজনা না দেয়ায় ১৯৯৯ সালে সরকার এ জমির খাজনা দাবি করে মামলা করে। এ মামলার পর ওই বছরের ২৫ জুলাই সিরাজুল হক ২ হাজার ৭৯২ টাকা খাজনা পরিশোধ করে জমির ভোগ-দখল করতে থাকেন। ২০০৮ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক ইন্তেকাল করেন। এরপর এ জমির খতিয়ান সংশোধন চেয়ে মামলা করে সরকারপক্ষ। পরে ২০০৯ সালের ২৩ জুন রমনা ভূমি অফিস এই জমি অধিগ্রহণের জন্য নোটিশ পাঠায়। ওই বছরেরই ১৫ নভেম্বর রমনা ভূমি অফিস থেকে আরেকটি নোটিশ পাঠানো হয় জমির মালিক বীরেন্দ্রনাথ রায়কে। ওই নোটিশে বলা হয়, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ও সদস্যদের আবাসন সুবিধার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য এবং জনস্বার্থে এই জমিটি প্রয়োজন। নোটিশে জমির দাম উল্লেখ করা হয় ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার ৫২৯ টাকা। এ নোটিশের পরপরই জমি অধিগ্রহণের গেজেটও জারি করা হয়। গেজেট জারির কিছুদিন পর জমির ভোগ-দখলকারী সিরাজুল হকের পরিবারকে উচ্ছেদ করে প্রশাসন। ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে সিরাজুল হকের স্ত্রী মালেকা সিরাজ ও তার ৫ সন্তান রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১১ সালে গেজেট বাতিল ও জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে ওই বছরই আবেদন করে সরকারপক্ষ। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা দেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে ২০১২ সালে আপিল করে সরকারপক্ষ। গত ৬ মাস ধরে মামলাটি আপিল বিভাগের কার্য তালিকায় থাকলেও সরকারপক্ষ শুনানিতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে এরই মধ্যে রিটকারী পক্ষ শুনানি করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন