চলতি অর্থবছর মার্চ-জুন চার মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। যদিও ইতিমধ্যে মার্চ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এ মাসের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। এনবিআরের সবশেষ হালনাগাদকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করতে হবে। কিন্তু প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে বাকি আছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ৩৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম করসহ বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করতে হবে।
এদিকে বেশ কয়েক অর্থবছর থেকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় লক্ষ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে ৩ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে শেষ চার মাসে প্রতি মাসে গড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এক মাসের হিসাবে এনবিআর কখনো এত শুল্ক-কর আদায় করতে পারেনি।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্ক বাড়ানোর ফলে এবার আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় বেড়েছে।
আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক-কর আদায় করে এনবিআর। এ ছাড়া আয়করও এখন রাজস্বের বড় খাত। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক খাত থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ খাতে আদায় হয়েছে ৬৬ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এ খাতে গতবার একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর পরের স্থানেই আছে আমদানি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও রফতানি শুল্ক খাত। এই খাতে আট মাসে আদায় হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। এই খাতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ। আয়করসহ প্রত্যক্ষ কর খাতে আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৩০৮ কেটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। তবে করোনার সঙ্কট কাটিয়ে ভ্রমণ স্বাভাবিক হতে চলেছে। তাই ভ্রমণ কর আদায়ে ১৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ খাতে এখন পর্যন্ত ৪৫৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। চার মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেড় লাখ কোটি টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন