বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

৪.৪৯ শতাংশ পুরুষ, ২.১৪ শতাংশ নারী আক্রান্ত

৯০ ভাগ রোগী চিকিৎসা সেবার আওতার বাইরে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে বিএসএমএমইউ গবেষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে শহুরে জনসংখ্যার শতকরা পুরুষ ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও মহিলারা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ ‘অবস্ট্রাকটিভ সিøপ অ্যাপনিয়া’ রোগে আক্রান্ত বলে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণা প্রতিবেদনে। বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা এই পরিসংখ্যান উপস্থাপনের পর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এখনও স্লিপ অ্যাপনিয়ায় শতকরা ৯০ ভাগ রোগী চিকিৎসা সেবার আওতার বাইরে। এ রোগে মানুষের রেসপিরটারি, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক ফেলিউরের মত জটিল রোগ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নীরব ঘাতক রোগ ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বিষয়ক শীর্ষক সেন্ট্রাল সেমিনারে চিকিৎসকরা এসব তথ্য জানান। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের মিলনায়তনে সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটি এর আয়োজন করে। সেমিনারে চিকিৎসকরা বলেন, ঘুমের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলা হয় স্লিপ অ্যাপনিয়া। চিকিৎসকেরা মনে করেন, এ রোগ মানুষের জন্য একটি নীরব ঘাতক। এই রোগে ঘুমের মধ্যে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সেমিনারে ওঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ২ ভাগ মহিলা থেকে ৪ ভাগ পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত।

বক্তারা বলেন, যাদের নাক ডাকার সমস্যা, যাদের ঠিক মত ঘুম হয় না, যাদের শরীর স্থূলকায়, তারা এ ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো রোগীর সার্জারির প্রয়োজন হয়। স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগ সম্পর্কে মানুষ জানে না। তাদের এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।সেমিনারে স্পিকার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএসএমএমইউতে দুটি স্লিপ ল্যাব রয়েছে। গত পাঁচ বছর তারা স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়ার সচেতনার লক্ষে প্রত্যেক চিকিৎসককে সচেতন হতে হবে। সচেতনার জন্য প্রত্যেক চিকিৎসকের উচিত রোগীর হিস্ট্রির নিতে হবে। কম করে হলেও মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড সময় বেশি ব্যয় করে চিকিৎসকদের উচিত রোগীর ঘুমের হিস্ট্রি নেওয়া। এ রোগের ফলে মানুষের রেসপিরটারি, স্ট্রোক, হার্ট এটাক কার্ডিয়াক ফেলিউরের মত জটিল রোগ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সেমিনারে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন। সেমিনারে স্পিকার হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন নাক কান গলা বিভাগের প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান তরফদার । সেমিনারে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ও চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন