প্রাইমারি স্কুলের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের ওপর জারিকৃত রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের ডিভিশন রুল খারিজ করে দেন।
গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়করণকৃত প্রাইমারি স্কুলের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে হাইকোর্ট এ রুল জারি করেছিলেন। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে রিটকারীরা চাইলে মামলা করতে পারবেন- মর্মে আদেশ দেন আদালত।
রিটকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। গত বছর ১৩ জানুয়ারি সারা দেশে জাতীয়করণকৃত ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেলের রিট পিটিশন ৩ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেন।
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রেসিডেন্টের আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেই পরিপত্র ও গেজেটের পর জাতীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন। কিন্তু গত বছরের ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। শুনানি শেষে আদালত পরিপত্র স্থগিত এবং রুল জারি করেন।
রুলে শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ১৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে শিক্ষকরা আপিল করেন। আপিল বিভাগ ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে রিট পিটিশনটি তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টকে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল উপরোক্ত আদেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন