রমজান ও গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা জরুরি। এ কারণে রমজানের আগেই সিএনজি স্টেশন ৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এবার নতুন করে শিল্প কারখানাগুলোতে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। আজ মঙ্গলবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে যা ঈদ পর্যন্ত বলবত থাকবে। গতকাল সোমবার পেট্রোবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা তাািরকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে আজ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন বিকাল ৫টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রতিদিন মোট ৪ ঘণ্টা সকল শিল্প শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিম বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করবে বলেও পেট্রোবাংলা জানায়। এ প্রসঙ্গে জানতো চাইলে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, কিছুটা সমস্যাতো হবেই। বিশেষ করে ডাইং সেকশনে। কাপড় নষ্ট হতে পারে অথবা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কম হবে। তবে এতে জনগনের উপকার হলে সাময়িক এই ক্ষতি মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি।
এর আগে গত ৩০ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ৬ ঘণ্টা সব সিএনজি স্টেশন হতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিল জ্বালানি বিভাগ। সে সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসের শুরু থেকে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘণ্টা সব সিএনজি স্টেশন হতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারাদেশে সিএনজি স্টেশনগুলোকে উল্লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিমগুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে। তারা সিদ্ধান্ত অমান্যকারী সংশ্লিষ্ট সিএনজি স্টেশনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গ্যাস আইন-২০১০ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন