বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, করোনার মধ্যে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ এক দিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। বিশ্বমানের এ বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ এগিয়ে আছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
গতকাল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন শেষে বিমান প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে অবকাঠামোগত যে সীমাবদ্ধতা আছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হবে।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে টার্মিনালে প্রবেশের টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজটি কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে টার্মিনালকে যুক্ত করতে হবে। টানেল আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
তৃতীয় টার্মিনালের উত্তর অংশের কিছু কাজ বাকি থাকবে উদ্বোধনের আগে। এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা দেখব। যেটা সামঞ্জস্য ব্যয়, সেটাই দেখা হবে। কোনো নিশ্চয়তা নেই। সব একসঙ্গে কাজ হয়ে যাবে।
এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ সব সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে। কেবল কাজে দেরি হচ্ছে, যেহেতু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ একটু বিলম্বে শুরু হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের গন্তব্যে উচ্চ দামের বিমানভাড়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এয়ারলাইনসগুলো সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। বিমানের টিকিটের বেশি দাম এই সমস্যাটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এক মাসের মধ্যে আরও কমে আসবে।
এবারের হজ মৌসুমে হয়তো ৩০ থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশি সউদী আরব যেতে পারবেন, এ বিষয়ে প্রস্তুতি কেমন, বিমানভাড়া বাড়বে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিমানভাড়া সহনশীল পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করব।
শাহজালাল বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এ কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হলে এই বিমানবন্দরে অনেক উড়োজাহাজ আসবে রানওয়েতে। বিমানবন্দরে রানওয়ে একটি। তাই উড়োজাহাজ রানওয়েতে থাকার স্থায়িত্ব যাতে কম হয়, দ্রুততার সঙ্গে যেন তা পার্ক করতে পারে, এ জন্য দুটি অতিরিক্ত হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার। কিন্তু এই কাজটি এই মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন রাডার স্থাপনের কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন