শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অচেনা পহেলা বৈশাখ

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

এ যেন অচেনা পহেলা বৈশাখ। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে লাখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকার রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, হাতির ঝিল, বনানী-গুলশান লেক, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ রাজধানীর দর্শনীয় স্থানগুলো। কিন্তু এবার তেমন ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি সাধারণ দিনে যে পার্কে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা দেখা যেত সে পার্কও পহেলা বৈশাখে ছিল ফাঁকা। কারণ পবিত্র রমজান। রোজাদার মানুষ পহেলা বৈশাখের রমনায় গান শোনা বা বাঙালির সংস্কৃতির তথাকথিত ঐতিহ্য হিসেবে প্রচারিত হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ অংশ নেয়নি। মূলত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে প্রচার করা হলেও বাংলাদেশের অভ্যূদ্বয়ের পরও এমন রেওয়াজ ছিল না। এমনকি ১৯৬৫ সালের আগেও রমনার বটমূলে গান গেয়ে পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানানোর রেওয়াজ ছিল না।
পবিত্র রমজান মাসে এবার এসেছে পহেলা বৈশাখ। শুরু হয়েছে বাংলা নতুন বছর ১৪২৯ বঙ্গাব্দের যাত্রা। পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ‘পান্তা ইলিশ’ খাওয়াকে বাঙালির সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে প্রচার করা হয়। পবিত্র রমজান মাসে প্যাঁচা, ময়ূরসহ নানান মুখোশ নিয়ে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। ভাবখানা যেন মুসলমানদের ঈদের চেয়েও বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ। পবিত্র রমজান মাসে প্রচণ্ড গরমে পহেলা বৈশাখের আয়োজনকরা গানের অনুষ্ঠান করেছেন; মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছেন; কিন্তু সেগুলোতে সাধারণ মানুষকে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ইসলামবিদ্বেষী কিছু মানুষের রমজান মাসে পহেলা বৈশাখের এই সব আয়োজন টেলিভিশনে ব্যপকভাবে প্রচার করা হলেও বাস্তবে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রমনা পার্ক, শাহবাগ থেকে বাংলামটর, মতিঝিল-গুলিস্থান-পল্টন মতিঝিল-হাতিরঝিল লোকে লোকারণ্যে। এবার সব রাস্তা ছিল ফাঁকা। রমনা, টিএসসির আশপাশে পান্তা ইলিশ খাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি। ছিল না মানুষের হুড়োহুড়ি। খণ্ড খণ্ড গানের আসর চোখে পড়েনি এ যেন অচেনা পহেলা বৈশাখ।

করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন বন্ধ ছিল। সে কারণে এবার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। রমজান মাসে কিছু গণমাধ্যমে তথাকথিত সংস্কৃতিসেবিরা প্রচার করেন পহেলা বৈশাখ বাঙালির শেকড়ের সংস্কৃতি; জাতির সবচেয়ে বড় উৎসব। ভাবখানা যেন মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদের চেয়েও বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ। তাদের কথায় মানুষ কান দেয়নি। পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বা ‘রমনার বটমুলে গানের আয়োজন’ প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এসব অর্থ অনুদান ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ কারণে গণমাধ্যমে পহেলা বৈশাখ নিয়ে ব্যপক প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ পবিত্র রমজান মাসে রমনার বটমুলে গান শুনতে যেমন যাননি; তেমনি মঙ্গল শোভযাত্রায় অংশগ্রহণ করেননি। বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরার ম্যারপ্যাঁচে বেশি মানুষের উপস্থিতি দেখানোর চেষ্টা হলেও সাধারণ মানুষের তেমন অংশগ্রহণ ছিল না।

প্রতি বছর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পহেলা বৈশাখে ঘুরতে বের হন নগরীর যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এ বছর তার দিনটি একটু ভিন্নভাবে গেছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে রমনায় গানবাজনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রা’র আয়োজন কোনোটিই ঠিক হয়নি। রোজা রেখেছি, প্রচণ্ড গরম তাই এ বছর পহেলা বৈশাখে বের হইনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রমজানের কাঠফাঁটা রোদে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। ঢাবির ভিসি, সংস্কৃতির প্রতিমন্ত্রীসহ শিক্ষার্থীরা অংশ নিলেও প্রতিবছরের মতো হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা রমজান মাসে এমন আয়োজন পছন্দ করেননি। তাই অংশগ্রহণ করেননি। আরেক শিক্ষার্থী জানান, মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির ঐতিহ্য এ তথ্য সঠিক নয়। ৩০-৩৫ বছর আগেও পহেলা বৈশাখে এমন মঙ্গল শোভাযাত্রা হতো না। যেখানে ঢাবির হলের ছাত্রীরা রমজান মাসে টিএসসিতে নামাজের যায়গার জন্য আন্দোলন করে সেখানে পবিত্র এ মাসে এমন গানবাজনা শোভাযাত্রার আয়োজন বেমানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রমনা বটমূলে অনুষ্ঠিত হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ গান। গানের অনুষ্ঠানে দর্শকের চেয়ে শিল্পী আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যই ছিল বেশি। ইলিশ পান্তা ভাতের দোকান চোখে পড়েনি, চুড়ির-পুতুল-ফিতার দোকান দু’চারটে দেখা গেলেও বারোয়ারি দোকান ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা বিভিন্ন পেইন্টিং, মুখোশ বিক্রির জন্য রাখা হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও দাম সম্পর্কে দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থী জানান, দুই পাখি ২৫০, তিন পাখি ৩৫০, ছোট মুখোশ ৩০০, বড় মুখোশ ১৭০০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়া একটি সরার দাম ১ হাজার, ছোট বাঘ ২০০, পেঁচা ২০০, ঝুলন্ত পাখি ৫০ করে বিক্রি হয়।

রমনা বটমূলে গান আর মঙ্গল শোভাযাত্রা আনুষ্ঠান ছাড়াও নগরীর অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রে বর্ষবরণের তেমন কোনো আমেজ দেখা যায়নি। সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বেশিরভাগ বিনোদন কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। কোথাও কোথাও অল্প কিছু মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। অনেকেই বলেছেন, রমজান মাসে রোজা রেখে এমন গান শোনা ও বিধর্মীদের সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া উচিত নয়। আর যতই ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির সবচেয়ে বড় সংস্কৃতির উৎসব’ প্রচার করুক না কেন ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সেটা বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
রাজধানীর হাতিরঝিলে সরেজমিন গেছেন এমন একাধিক সাংবাদিক জানান, পহেলা বৈশাখে হাতিরঝিলের প্রতিটি উন্মুক্ত স্থান খাঁ খাঁ করেছে। ঝিল পাড়ে বসার বেঞ্চগুলোও খালি পড়ে ছিল। ওয়াটার টেক্সিগুলোতেও ছিল না মানুষের উপস্থিতি। অথচ আগেকার পহেলা বৈশাখে লোকে লোকারণ্য থাকতো হাতিরঝিল। লোকজনের ভিড়ে হাটা যেত না। এমনকি পহেলা বৈশাখে সাধারণ দিনের মতো মানুষের আনাগোনা চোখে পড়েনি।

হাতিরঝিলের দু’জন নিরাপত্তাকর্মী জানান, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে মানুষের যে পরিমাণ উপস্থিতি দেখেছি, এবছর তা একেবারেই ভিন্ন। এবার মানুষের কোনো উপস্থিতি ছিল না। রোজা রাখার কারণে মানুষ বের হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ধানমণ্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন কোথাও তেমন মানুষের আনাগোনা চোখে পড়েনি। অন্যান্য দিনের মতোই রমজান মাসে এই সব এলাকায় স্বাভাবিক দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাঙালির ঐতিহ্য? ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায় বাঙালিরা শঙ্কর জাতি। এ জাতির ইতিহাস ৬ থেকে ৭ হাজার বছর পুরনো। বাঙালি জাতি পরিচয়ের ঐতিহাসিক যুগ শুরু হয় গুপ্তযুগ (৩২০ খ্রি.-৬৫০ খ্রি.)। রাজা শশাঙ্ক (খ্রিস্টপূর্ব আনু ৬০০ খ্রি.- ৬২৫ খ্রি.) তখন থেকেই বাঙালি জাতিসত্তার যাত্রা শুরু। পাল ও সেন আমলে এসে সে সত্তা আরো বিকশিত হয়ে বাঙালি জাতির শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে। ওই ভিত্তির ওপরই স্থাপিত বাংলায় সুলতানি রাষ্ট্র। সুলতানি আমলেই আবার সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য তৈরি হয় একটি সাধারণ ভাষা। নাম বাংলা ভাষা। সরকারি পর্যায়ে বাংলা ভাষার পাশাপাশি প্রবর্তিত হয় ফার্সি ভাষা। এ উপাদান আরো সমৃদ্ধি লাভ করে মুগল আমলে (১৫৭৫-১৭১৭)। বাংলা সাল, বাংলা মাসের নাম ও পহেলা বৈশাখ-এ নববর্ষ উৎসব মুগল যুগে শুরু হয়। বাঙালি সমাজে প্রবর্তিত নানা উৎসব, নানা খাদ্য, নানা বেশভূষা যা বাঙালিত্বকে আরো বর্ণাঢ্য করে তোলে। পান, তামাক, পানীয়, জলসা (আড্ডা) প্রভৃতি মুগল শাসনের বিশেষ অবদান। কিন্তু ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো সংস্কৃতি ছিল না। নবাব সুজাউদ্দিন খান (১৭২৭-১৭৩৯) এর দরবারে হিন্দু আমীররা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তখনো মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। ব্রিটিশপূর্ব যুগেও কোথাও ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ তথ্য পাওয়া যায় না।

ছায়ানট মূলত ১৯৬৭ সালে রমনা বটমূলে প্রথম পহেলা বৈশাখ উৎযাপন শুরু করে। দীর্ঘবছর পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান গানবাজনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে চারুপীঠ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথম ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ আয়োজন করে। পরের বছর পহেলা বৈশাখে ঢাবির চারুকলার ইনস্টিটিউট থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করা হয়। তখন নাম ছিল ‘নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা’। সেই শোভাযাত্রায় পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যযন্ত্রসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম ব্যবহৃত হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সালে ‘নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করে ‘নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা’ প্রবর্তন করে। ১৯৯০ সালে এই শোভাযাত্রায় নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। ১৯৯২ সালে আনন্দ শোভাযাত্রার সম্মুখে রঙ বেরঙয়ের পোশাক পরিহিত ছাত্র-ছাত্রীদের কাঁধে ছিল বিরাট আকারের কুমির। ১৯৯৩ সালে ‘বাংলা ১৪০০ সাল উদ্যাপন কমিটি’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রার আকর্ষণ ছিল বাঘ, হাতি, ময়ূর, ঘোড়া, বিভিন্ন ধরনের মুখোশ।

২০০৫ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং দায়িত্ব দেয়া হয় এশিয়াটিক সোসাইটিকে। ১২ খণ্ডে প্রকাশিত ওই তালিকা তথা সমীক্ষা প্রতিবেদনের ১১০০ খণ্ডে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বাংলা একাডেমী ২০১৪ সালে এ প্রস্তাবনাটি সর্বপ্রথম প্রণয়ন করে। কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরবর্তীকালে ইউনেস্কোর চাহিদা অনুযায়ী এই প্রস্তাবনাকে গ্রহণযোগ্যরূপে পুনঃপ্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ এর পহেলা জুন পুনঃপ্রণীত এই প্রস্তাবনা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পুনরায় ইউনেস্কোয় জমা দেয়া হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায়। প্রশ্ন হলো হাজার বছরের শিল্প-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের দেশে পহেলা বৈশাখে ২০ থেকে ৩০ বছরের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ কেমন করে সাংস্কৃতির ঐতিহ্য হয়?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (31)
কাউছার জাহান সরকার ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
১৪০০ বছর ধরে প্রতিদিন পাঁচ বার করে 'হ্যাইয়া আলাল ফালাহ' (মঙ্গলের দিকে এসো) বলে আহ্বান করা হচ্ছে মসজিদ থেকে। এরপরেও একজন মুসলমানের মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়ে মঙ্গল খুঁজবার আদৌ কি প্রয়োজন আছে?
Total Reply(0)
Shaikh Faizullah Arqami ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১০ এএম says : 0
ইনকিলাবকে সত্যের জন্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Md Belal Miazi ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
খুব সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ। ধর্ম মানুষ বুকে লালন করে। আর এ সমস্ত অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধান্দা চলে বিভিন্ন ধরনের ধান্দা। ধর্মীয় অনুভূতি সবকিছুর উপরে।
Total Reply(0)
Mahabub Hoosain Babloo ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
হিন্দুরা গভীর ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙ্গালীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা মুসলমানদের জন্য হারাম।
Total Reply(0)
Sazzad Chowdhury ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
সত্যিকথা তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার উপর আল্লাহ্‌র রহমত বর্ষিত হোক।
Total Reply(0)
Saiful Islam ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
মাশা-আল্লাহ, এখনো মুমিন সাংবাদিক আছে।
Total Reply(0)
Mursheduz Zaman Ansary ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
মঙ্গল শোভা যাত্রা করতে করতেই ওদের জীবন শেষ হবে কিন্তু মঙ্গলে আর যাওয়া হবেনা।
Total Reply(0)
Syed Mhafuz Hasan ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
অসাধারন! সাহসী লিখনী,
Total Reply(0)
Md Nazrul Islam ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
মাশা আল্লাহ্‌ খুব সুন্দর করে বুজিয়ে বলেছেন
Total Reply(0)
Lutfar Rahman ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
We never know about it. It's start some years before. We never seen as like before. stop it just now and forever. It's not our culture, it's hindue's culture. It's problem for our country, Allah gives us highest panishment. Allah gives us headeth.
Total Reply(0)
Md. Arafat Hossain Rubel ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৩ এএম says : 0
একমত পোষন করছি, এটা করা হচ্ছে একটি বিশেষ গোষ্ঠী যারা মাসীহ্ উ দাজ্জালের অনুসারী, তারা ইহার প্রচলন করেছে তাকে খুশী করছে।হয় ক্ষমতার মোহে,না হয় তার সন্মানে, এমনটি ফেরাউন সময় ছিলো বলে মনে হচ্ছে। কারন ইতিহাস গবেষণা করে দেখা যাচ্ছে ৪০০ বছর শাসন কারী পালেরা এমন সংস্কৃতি পালন করেনি,১০০ বছর শাসন কারী সেনেরাও নয়।তারপর মুসলিম শাসন মানে বখতিয়ার খলজির বিজয়।মানে এমন কিছু মুসলমান করলে তিনি এখন বেচে থাকলে,তার নামে কেউ এমন কিছু করলে নিশ্চয়ই রমনায় শাস্তি দিতো।কারন মিথ্যাচারীরা মুসলিমও নয়,অমুসলিম ও নয়,এরা কোন সম্প্রদায় যারা হাজার বছেরর মিথ্যাবাদী সম্প্রদায় যারা ইতিহাস বিকৃত করে।
Total Reply(0)
মাওলানা মামূনুর রশীদ ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৩৭ এএম says : 0
সত্য প্রকাশের জন্য ইনকিলাবকে জাযাকাল্লাহ। এজন্যই ইনকিলাব পড়ি ও ইনকিলাব কে ভালবাসি। আপনাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। প্রাণভরে দোয়া করি।
Total Reply(0)
A. K. Azad Swapon ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
এই নিউজ টা মুসলিম তরুনদের নতুন বার্তা দেবে নিঃসন্দেহে,এটা ইসলামী আইন বিরোধী,যাতে কোন মুসলিম অংশগ্রহণ করতে পারে না।
Total Reply(0)
Juwel Rana Badol ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
আমারও প্রশ্ন ৩০-৩৫ বছরের ইতিহাস কিভাবে সংস্কৃতির অংশ হয়?
Total Reply(0)
Md Saim ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
এইজন্যই ইনকিলাব পত্রিকাটি ভাল লাগে তারা সব সময় সত্য নিউজ প্রচারের জন্য চেষ্টা করে।
Total Reply(0)
A K Baghdadi Atik ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
এতদিন পরে বিষয়টা আপনাদের মাথায় আসলো!! তারপরেও ধন্যবাদ! আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
Total Reply(0)
Rabiul Islam ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি দেশ প্রেমিক জনগণ প্রত্যখ্যান করেছে
Total Reply(0)
কবি আল আমীন ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
এই তো! সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ইনকিলাবকে অভিনন্দন
Total Reply(0)
ইয়াকুব আহমদ আফাজ ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
অপেক্ষা করেন কুসংস্কার চলে যাবে কয়েক বছরের ভিতরে ইনশাআল্লাহ
Total Reply(0)
Md Faruque Khan ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
সত্যিকথা তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার উপর আল্লাহ্‌র রহমত বর্ষিত হোক।
Total Reply(0)
Emdad Fujayl ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৭ এএম says : 0
ইনকিলাব কে অসংখ্য ধন্যবাদ। সময়ের সাথে সাহসী লিখনি,এবং সত্য ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।বাংলার ঐতিহ্য লালন করতে হলে নব্য আবিষ্কৃত এগুলো পরিহার করতে হবে!
Total Reply(0)
Khalid Mithun ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৭ এএম says : 0
অনেক অনেক ধন্যবাদ ইনকিলাব কে সময় উপযোগী সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য। সংস্কৃতির নামে এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত প্রতিটি বাঙ্গালী মুসলমানদের।
Total Reply(0)
Arif Al Amin ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৮ এএম says : 0
ধন্যবাদ ইনকিলাব এইজন্যই ইনকিলাবকে ভালোবাসি ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত নসিব করুন
Total Reply(0)
মুহাম্মাদুল্লাহ নাঈম ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৩০ এএম says : 0
এরকম সত্যবাদি মিডিয়া আমাদের দরকার। ইনকিলাব,, বাংলার আল জাজিরা????????
Total Reply(0)
মুহাম্মাদুল্লাহ নাঈম ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৩০ এএম says : 0
এরকম সত্যবাদি মিডিয়া আমাদের দরকার। ইনকিলাব,, বাংলার আল জাজিরা????????
Total Reply(0)
Abdullah ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৯:৪১ এএম says : 0
এই নিউজ টা মুসলিম তরুনদের নতুন বার্তা দেবে নিঃসন্দেহে,এটা বংগালি মুসলিমের মনের চাহিদা বিরোধি। বিরোধী,যাতে কোন মুসলিম অংশগ্রহণ করতে পারে না।
Total Reply(0)
Dr. Mohammad Ziaul Hoque ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৪৫ এএম says : 0
প্রদীপ হলো হিন্দু-ধর্মের মূল। অগ্নি উপাসকরা প্রদীপ জ্বালিয়ে মঙ্গল কামনা করে। কিন্তু হিংস্র বাঘ ও দিনে লুকিয়ে থাকা পেচাঁ দিনের আলোয় বের হয়ে মানুষের মঙ্গল কামনা করে - এমন উদ্ভট ধারণা কারু-পল্লীর মূর্খদের আবিষ্কার। এদের দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে কারো মঙ্গল হবে না । একজন ঈমানদার মুসুলমান কখনো আল্লাহর নির্দেশ রোজা পালন বাদ দিয়া বাঘ বন্দনা করবে না। তাই এবার ইসলামী চেতনা নির্মূলের শোভাযাত্রা মাঠে মারা গেলো।
Total Reply(0)
Abdullah ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৯:৪১ এএম says : 0
এই নিউজ টা মুসলিম তরুনদের নতুন বার্তা দেবে নিঃসন্দেহে,এটা বংগালি মুসলিমের মনের চাহিদা বিরোধি। বিরোধী,যাতে কোন মুসলিম অংশগ্রহণ করতে পারে না।
Total Reply(0)
Md Abdur Rahman Siraji ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৪:২৭ পিএম says : 0
সত্য প্রকাশে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা ছোটকাল থেকেই খুব ভালো লাগে
Total Reply(0)
nasim ১৯ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৩৬ এএম says : 0
সত্য প্রকাশে দৈনিক ইনকিলাব.. ইনকিলাবকে অভিনন্দন....onk onk valobasa roilo!
Total Reply(0)
মোঃ রহমান ২২ এপ্রিল, ২০২২, ৩:১৯ এএম says : 0
লেখকের লেখনীর প্রশাংসা করতে সম্মান করে "সাব্বাশ" শব্দটি কি করে ব্যবহার করব বুঝতে পারছি না। তবে বলতে ইচ্ছে করছে সাব্বাশ বেটা বাঘের বাচ্চা। এ জন্যইতো ইনকিলাব পড়ি।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন