এবার নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) ও নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ) দুই আসন থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। নোয়াখালী-৫ আসনটির বর্তমান এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি একরাম বলেন, আমি কবিরহাটের ছেলে হিসেবে অনেক বেশি গর্ববোধ করি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত কী হবে আমি জানিনা। তবে যদি আপনারা চান, ‘আমি নোয়াখালী-৪ নোয়াখালী-৫ দুই আসন থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবো। শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিবেন। আমার কি ইচ্ছে করেনা আমার নিজ এলাকার মানুষকে ভালোবসি। আপনারা যদি আমাকে নমিনেশন নেওয়ার জন্য অনুমতি দেন তাহলে আমাকে হাত তুলে দেখান।
এমপি এশরাম বলেন, কবিরহাটের মানুষজন আপনারা আমাকে নেতা বানিয়েছে। আমার কি অপরাধ?। আমাকে অনেক অপমানজনক কথা বলা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, আমি নাকি ২৬টা খুন করছি, আমার ছেলে অস্ত্র নিয়ে চলে। কে এটা বলছে আমি বলতে চাইনা। অথচ এসব ঘটনার কোন বিচার নেই এ দেশে। কাদের ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ করি, আমি মাইকের সামনে কিছু বলবো না। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হলো আপনার স্ত্রীকে যে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলা হইছে এটার বিচারও কি বাংলাদেশের মানুষ পাবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, নেত্রী আপনি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দেখেন কবিরহাটের ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানে আমার কি পরিমাণ লোকজন হয়। এসময় তিনি উপস্থিত লোকজনের কাছে জানতে চান আপনার যারা আমাকে ভালোবাসেন হাত তুলেন, এসময় উপস্থিত লোকজনের হাত তোলা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন এমপি একরাম।
একরাম আরও বলেন, নিজ স্বার্থে যারা মিথ্যা কথা বলে বক্তব্য দেয় আমি মনে করি তাদের কাছে আর কবিরহাটের মানুষ যাবে না। যে লোক আমার সামনে বসত না, সে লোক অসংখ্য খারাপ খারাপ কথা বলে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও মন্তব্য করেন এমপি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, আবদুল মোমিন বিএসসি, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন