শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গের দাবিতে পদবঞ্চিতের স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩জন নেতা তার সাথে বৈঠকে বিদ্যমান কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি ঘোষণার পক্ষে মতামত দেন। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে তার আগে কেন্দ্রীয় কমিটি স্বল্প মেয়াদে হলেও পূর্ণাঙ্গ করার দাবি জানিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে পদের অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীরা। এই দাবিতে তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে স্মাকলিপি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে তারা স্মারকলিপি দেন। পদবঞ্চিতরা স্মারকলিপিতে তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা ওয়ান-ইলেভেনের দুঃসময় থেকে শুরু করে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতিকেই আমরা আমাদের জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছি। বারংবার জেল-জুলুম ও নিপীড়নের শিকার হয়েও রাজপথ ছাড়িনি। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের আন্দোলন, ২০১৫ সালের আন্দোলনসহ দলীয় সকল ঝুঁকিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমরা সক্রিয় থেকেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। আমরা এ নিয়ে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে বারবার সাক্ষাৎ করে দুঃসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নেতাকর্মীদের প্রাপ্য মূল্যায়ন নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে প্রতীকী অনশনের মাধ্যমে মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কোনো দাবি নয়, নেতাকর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। ছাত্রদলের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ আড়াই বছরেও কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে না পারা।

তারা বলেন, বিদ্যমান কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হলে আমাদের অনেক সহযোদ্ধাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিপন্ন হতে পারে। পরবর্তী কমিটির বয়সের বিধিনিষেধের জটিলতায় অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। দুঃসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেকেই দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও পরিশ্রমের কাক্সিক্ষত মূল্যায়ন না পেয়েই সংগঠন থেকে বিদায় হবার আশঙ্কা করছেন। এমতাবস্থায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উদাসীনতায় আমাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিপন্ন হবার আশঙ্কায় আমাদের আশা-ভরসা ও ন্যায্যতা প্রাপ্তির চূড়ান্ত ভরসাস্থল হিসেবে আমরা একান্তই বাধ্য হয়ে আপনার দ্বারস্থ হলাম। আমরা জীবনের সোনালী সময়গুলো জাতীয়তাবাদের রাজনীতির জন্য নিবেদিত করেছি। শুধু একটা সাংগঠনিক পরিচয় নিয়ে সংগঠনে কাজ করার সুযোগ চাই। আমরা স্বল্প মেয়াদের জন্যে হলেও আমাদের প্রাপ্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি চাই। আপনার সকল সিদ্ধান্তের ওপর আমরা শতভাগ আস্থা রাখি।
স্মারকলিপির সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তীতুমীর, তেজগাঁও, কবি নজরুল, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরের ৯৩জন বঞ্চিত নেতাকর্মীর নামও পাঠানো হয় তারেক রহমানের কাছে। স্মারকলিপি প্রদানে প্রতিনিধিদলে ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মুতাছিম বিল্লাহ, মো. আনোয়ার পারভেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. শামীম হোসেন, ঢাকা কলেজের জহির হাসান মোহন, তিতুমীর কলেজের রেজওয়ানুল হক সবুজ, হাফিজুর রহমান লিটন, বাংলা কলেজের শামীম খান, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সম্রাট খান, কাজী সাইমুমসহ অন্যান্য ইউনিটের পদপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন