রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে মেয়র আতিকুলের হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আপনারা জনগণের খাল ও নদী বালু দিয়ে ভরাট করে বেদখল করবেন না। নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর শ্যামলী পার্কে উন্নয়ন করা সাতটি পার্ক ও মাঠের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, খাল এগুলো উদ্ধার করে দিতেই হবে। তাদের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব। এগুলো না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে আপনারা আমাদের কি দিয়েছেন। মহানগর জরিপ অনুযায়ী ৬০ ফিট খালকে ৬ ফিট বানিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখল করা যাবে না। সি এস এবং আর এস অনুযায়ী যেটি বেশি সেই অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, নগরবাসীর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নববর্ষের উপহার হিসেবে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। এগুলো আপনাদেরই পার্ক। আপনাদেরই এই পার্ক ও মাঠগুলো দেখে রাখতে হবে। মাঠগুলোকে আপনারা সন্তানের মতো ভালোবাসবেন, এটা আমার অনুরোধ।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষসহ সকলের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এই পার্ক ও মাঠগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে শিশুদের ও বড়দের আলাদা খেলার জায়গা, নারীদের বসার সুব্যবস্থা, বসে খেলা উপভোগ করার জন্য রয়েছে গ্যালারি। আমরা এলাকবাসীর সাথে কথা বলে তাদের চাহিদার ভিত্তিতেই এই পার্ক ও মাঠের নকশা প্রণয়ন করেছি।
পরে মেয়র সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পার্ক ও খেলার মাঠগুলো হলো— শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লএফ পার্ক, রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।
ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন