বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জড়িত এয়ারলাইনের কর্মকর্তারা

সক্রিয় বাংলাদেশ-দ. আফ্রিকা পাচারচক্র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় মানবপাচারের একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে উঠেছে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশিদের ওই দেশটিতে পাঠায়। দক্ষিণ আফ্রিকার অভিবাসন বিভাগের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৬ বছর বয়সী একজন অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইন-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ৫ বাংলাদেশিকে সেখানে আটক করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির ডিরেক্টরেট ফর প্রায়োরিটি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন (হকস) এসব তথ্য দিয়েছে। এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার থান্ডি মবামম্বো বলেছেন, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করার অনেক অভিযোগে বুধবার ওআর টাম্বো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পোনে সিমন দিথিপে’কে।
জার্মিস্টোন এলাকায় হকস সিরিয়াস অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন যৌথভাবে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের সঙ্গে একসঙ্গে অভিযান চালায়। তারা দেশের ভিতর বৈধ ভিসা ছাড়া যেসব অভিবাসী আছে, তাদেরকে শনাক্ত করতে অভিযান চালায়। ব্রিগেডিয়ার মবাম্বো বলেন, সন্দেহজনকভাবে আটক করে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা অবৈধভাবে যাওয়া প্রতিজন অভিবাসীর কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ নিতেন। এক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ হাজির হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার কেম্পটন পার্ক ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে হাজির করা হয় দিথিপে’কে। সেখানে তিনি জামিন পান। এই মামলাটির তদন্ত আগামী ২৫ শে মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সম্প্রতি জোহানেসবার্গের উত্তরে ক্রুজারসডর্প থেকে কর্তৃপক্ষ ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশে সুসমন্বয়ের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে একটি গ্রুপ। ওই বিমানবন্দরে গড়ে তোলা এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত অভিবাসন বিষয়ক ওই কর্মকর্তা। এর সঙ্গে যুক্ত আছে হ্যান্ডলিং স্টাফ, ক্লিনার, নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যক্তিরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। বাংলাদেশে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে একজন ‘রানার’। তার কাজই হলো দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার যোগ্যতা নেই এমন বাংলাদেশিকে সেখানে নেয়া। এর সঙ্গে যুক্ত আছে এয়ারলাইনের কর্মকর্তারা। একটি ‘কিংপিন’ বা মূল হোতা এসব সহযোগিতার মধ্যে সমন্বয় করেন। রানাররা অযোগ্য বাংলাদেশিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে দেয়ার বিনিময়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে। আর বিমান সংস্থা ওই বাংলাদেশিকে ভুয়া নামে বহন করে। যাত্রীদের তালিকায় তাদের নাম থাকে না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন