প্রতিবারের মতো এবারও নোয়াখালীতে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার। হরেক রকম রুচিসম্মত আইটেম সাজিয়েছে দোকানিরা। ইফতার বাজারে তিন ধরনের ক্রেতা দেখা যায়। উচ্চবিত্তরা অভিজাত রেস্তোরাঁয়, মধ্যবিত্তরা মাঝারি মানের দোকান আর দিনমজুরদের ভরসা ফুটপাতের দোকান।
ছোলাবুট, পিঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, মিষ্টি, আলুর চপ, ভিঁচুড়ি, বিরিয়ানি, খাসির রেজালা, মুরগি ভুনা, হালিম, ফলের রস, মিষ্টি ও টক দই, শরবত, খেজুর যে যার মত ক্রয় করছে। তবে আইটেম ভেদে ইফতার সামগ্রীর মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রবাসী অধ্যুষিত নোয়াখালীর ইফতার বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আইটেমের ইফতারি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলেও পরিবেশিত হচ্ছে হরেক রকম ইফতারির আইটেম। জেলা শহরের বাইরে মফস্বল এলাকাগুলোতে রকমারি ইফতার সাজিয়েছে দোকানিরা।
প্রবাদ আছে, নোয়াখালীর মানুষ রুচিসম্মত ও অনেক আইটেমের ইফতার করে। সে চিন্তা থেকেই ক্রেতাদের চাহিদার সন্নিবেশ ঘটিয়েছে দোকানিরা। নোয়াখালী জেলা শহরের অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে দুপুর থেকে ইফতার সামগ্রী বিক্রি শুরু হয়। শহরের বাইরে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন ইফতার কিনতে ভিড় করেন। এ জেলার অধিকাংশ প্রবাসী পরিবার হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে ইফতার সামগ্রী কেনা নিত্যকার বিষয়।
বেগমগঞ্জ-সোনাপুর ফোরলেন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তনের ফলে জেলা শহরে বেশ কিছু অভিজাত রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে এদের অনেকে রাজধানী ঢাকা থেকে নামিদামি বাবুর্চি নিয়োগ দিয়েছে। ফলে পাশর্^বর্তী জেলা থেকে অনেকে ইফতার করার জন্য নোয়াখালী শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় করেন। কয়েকজন হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক ইনকিলাবকে জানান, প্রতিদিন জেলা শহরে আট থেকে দশ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন