বিগত দুই বছর করোনার ছোবলে ভাটা পড়েছিল ইফতার বাজার। এখন বিধি নিষেধ না থাকায় চাঙ্গা ইফতারের বাজার। এমনকি অতিরিক্ত মুনাফা লাভের এক মৌসুমী বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। মান-দাম নিয়ে দেখা যায় না সংশ্লিষ্টদের। তবে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দরাদরি প্রায় লেগে থাকে। দাম নিয়ে পরিবেশ প্রতিবেশ উত্তপ্ত হলেও মান যাচাইয়ে নির্লিপ্ততা অবিশ^াস্য! বিক্রেতারা যেমন খুশি তেমনভাবে তৈরী করে পসরা সাজিয়ে রাখে আকর্ষনীয়ভাবে। ক্রেতারাও রুচিমতো ক্রয় করে ছুটছে ঘরমুখে। দিনবর রোযা রেখে কি খাচ্ছে ইফতারে সেই চিন্তা মাথায় রাখছে না কেউই। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। তারপরও নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টরা পালন করছে না কোন ভূমিকা, এমন অভিমত সচেতন মহলের।
তথ্য মতে, সিলেটে ইফতার বাজারকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের পরিমান নেই। তবে মৌসুমী এ বাজার যে ছোট নয় এব্যাপারে সকলেই একমত। শহর থেকে শুরু করে সর্বত্র ইফতারের পসরা নিয়ে বাণিজ্যে নামেন বিক্রেতারা।
এদিকে, রমজানের প্রথম দিনেই সিলেটে নানা পদের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। নগরীর জিন্দাবাজারের পালকি রেস্টুরেন্টের পরিচালক কবির আহমদ জানান, ইফতারে পালকির বিশেষ আইটেমের মধ্যে রয়েছে, বড় বাপের পেলায় খায়, মাটন লেগ রোস্ট, আস্ত মুরগির রোস্ট, মাসালা চিকেন, মাটন ভুনা, বিফ ভুনা, চিকেন ফ্রাই, দই বুন্দিয়া, বিফ আখনি, চিকেন আখনি, শাহী জিলাপি ইত্যাদি। এখানে প্রতিদিন ৫০টির মতো ইফতারি আইটেম তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, বন্দর বাজার, মেডিক্যাল রোড ও আম্বরখানা উপশহর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে সাজানো ইফতারির স্টল। তবে উন্নতমানের দোকানের চেয়ে মধ্যম মানের দোকানে ভিড় বেশি।
অপরদিকে এবারও ইফতারির বাজারে চড়া দাম। ইফতারের দাম বাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীরা বলেন, রোজা এলেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। যে কারণে ইফতারসামগ্রীর দাম বাড়াতে হয়। এছাড়া এবার ভোজ্যতেলেরও দাম বেড়েছে, তাই এর নেতিবাচক প্রভাব ইফতার সমাগ্রীর দর বেড়েছে। এদিকে, ইফতার সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে, সিসিক এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে সিসিকের ভূমিকা অবশ্যই জরুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন