ভবঘুরে জীবনযাপন করতেন মো. ইউসুফ ভূইয়া। প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পরিচিত ‘ইকোনো সার্ভিস’ গাড়িতে হেলপারের চাকরি নেন। গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে বাসের সুপারভাইজারের কাছে পুরাতন সহকারী শিপনসহ নিজের পারিশ্রমিক চান ইউসুফ। এ নিয়ে তাদের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ৪০০ টাকা পারিশ্রমিকের জন্য হুইল রেঞ্জ দিয়ে ইউসুফ সুপারভাইজার লিটনের মাথায় আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় নিহত রিয়াদ হোসেন লিটনের স্ত্রী হালিমা আক্তার অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৭/১৭১। ওই মামলায় পলাতক নতুন নিয়োগ পাওয়া হেলপার ইউসুফকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।
গতকাল মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গত ৯ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন ঝুমুর মোড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর ইকোনো সার্ভিসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০১০৩) যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে গাড়ির সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন লিটনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সিআইডির এলআইসি শাখাও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন উৎস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় হেলপার ইউসুফ ভূইয়ার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে এলআইসির একটি দল অভিযান পরিচালনা করে শনিবার রাতে নরসিংদীর মাধবদী থানা এলাকা থেকে ইউসুফকে গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন