স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন ওরফে রুবেল (২৬) আদালত থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে বাড্ডা থানার এক এসআই’সহ দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হয় রুবেলকে। ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাকে বিচারকের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় রুবেল। তাকে গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান চলছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআরও আসামি পালানোর কথা স্বীকার করলেও মূখ্য মহানগর হাকিম এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাস উদ্দিন বলেন, আদালত থেকে এক আসামি পালিয়ে গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
ডিএমপি’র গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইউসুফ আলী বলেন, আসামি পালানোর ঘটনায় দায়িত্ব পালনের অভিযোগে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরানুল হাসান, কনস্টেবল দীপক চন্দ্র পোদ্দারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর রাতে উত্তর বাড্ডার পার্লার থেকে বাসায় ফেরার পথে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে রুবেলসহ কয়েকজন। ২৮ অক্টোবর রাতে চারজনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। পুলিশ এ ঘটনায় সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও মূল হোতা রুবেল ছিলো পলাতক।
গত শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ঘটনার দিন একটি বিউটি পার্লারের কর্মী ওই গারো তরুণী তার হবু স্বামী রিপন ম্রংয়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার একটি মেসে যায়। এ সময় মেসের ম্যানেজার হানিফ বখাটে নাজমুল, সালাউদ্দিন, জয়নালকে ডেকে বিষয়টি জানায় হানিফ। এরই মধ্যে সালাউদ্দিন স্থানীয় বখাটে রুবেলকে ফোন করে ডেকে আনে। এ সময় তারা ওই তরুণী ও তার হবু স্বামী রিপনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তাকে সহযোগিতা করে আলামিন ও সালাউদ্দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন