স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত ড্রাইভার আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আদেশ ১১ মে।
গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো: আসিফুজ্জামানের আদালতে আব্দুল মালেক দম্পতি নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। পক্ষান্তরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র কৌঁসুলি তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার চার্জ গঠনের কথা রয়েছে।
গতকাল শুনানিকালে কারাগার থেকে আব্দুল মালেককে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জামিনে থাকা তার স্ত্রী নার্গিস বেগমও উপস্থিত ছিলেন।
গতবছর ২৭ অক্টোবর তদন্ত শেষে চার্জশিট দেন দুদকের উ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মালেক দম্পতির বিরুদ্ধে অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দু’টি পৃথখ মামলা করে দুদক। চার্জশিটে মালেকের বিরুদ্ধে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অন্য মামলায় আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদের তথ্য উল্লেখ রয়েছে। এর বিপরীতে বৈধ উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা। অবশিষ্ট এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে অস্ত্র আইনের মামলায় এক ধারায় ১৫ বছর ও আরেক ধারায় তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশী জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন