শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে মানবাধিকার রিপোর্ট তৈরি হয়েছে

বিডা ভবনে পিটার হাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘন এবং র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, এ প্রতিবেদন দুদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা ভবনে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ তথ্য জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে রিপোর্ট আমরা প্রতি বছর প্রকাশ করে থাকি। এজন্য আমরা অনেকের সঙ্গে কথা বলি। আমরা শুধু সেই তথ্যগুলোই দিয়ে থাকি যা অন্যদের কাছ থেকে পাই। বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে সব দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার পথ তৈরিতে এটা প্রস্তুত করা হয়, কোনো ধরনের অবস্থান চিহ্নিতের জন্য নয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ।

বিশ্বের ১৯৮টি দেশের ২০২১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার লংঘনের নানা অভিযোগ তোলে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, তথ্য যাচাই না করেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে।

আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিবেদন বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে যোজন যোজন দূরে। এটি তৈরিতে দুর্বল সূত্র থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি প্রতিমন্ত্রীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাস্তবতা থেকে যোজন যোজন পথ দূরের বিষয়বস্তুগুলো আছে যেগুলো আমরা বাইরে থেকে বাদ দিচ্ছি। যেগুলো বাংলাদেশ কখনই এন্টারটেইন করতে পারবে না। বিশেষ করে সমকামীদের অধিকার বিষয়গুলো যেটা বলা হয়েছে। যে কোয়ালিটি অব রিসার্চ ব্যবহার করা হয়েছে এটার মধ্যে একটা বড় ধরনের সমস্যা আছে। যেসব সোর্স থেকে ইনফরমেশন নেওয়া হয়েছে সেগুলো দুর্বল। এটা একটি পরিষ্কার পলিটিক্যাল এজেন্ডা।

প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে তলব করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তারা প্রথমে ব্যাপারটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে। এটা একটা নিয়মের মধ্যেও পড়ে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্টের সঙ্গে কথা বলব। শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকার অন্য কারও হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন