ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা সদরে গত ৩০ অক্টোবর হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনার পর থেকেই সেখানে বিজিবি, র্যাবের পাশাপাশি পুলিশী নিরাপত্তা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে স্থানীয়দের পাহারার ব্যবস্থা। এমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে গতকাল রোববার ভোররাতে উপজেলা সদরের জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ছোট্ট লাল দাসের বাড়ির একটি ঘরে রহস্যজনক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। আগুনে ঘরে থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি জাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় আবারো হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ব্যাপক নিরাপত্তা ও এলাকাবাসী পাহারা দেয়ার পরও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি রহস্যজনক। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, ১২বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক ছোট্ট লাল দাস বলেন, তার ছেলে সুজিত দাস রাতের বেলা পাহারা দিয়ে ঘরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কে বা কারা আগুন দেয় তা তিনি দেখেনি।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক হরিপদ পোদ্দার জানান, অন্যান্য দিনের মতো আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও এলাকার মানুষের পাহারা ছিল। ভোরের দিকে এলাকার মানুষ পাহারা শেষ করার পর পরই একটি ঘরে কে বা কারা আগুন দেয়। তবে ওই ঘরটিতে কেউ বসবাস করেন না।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব বলেন, আগুন দেওয়ার ঘটনা রহস্যজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্যই দুর্বৃত্তরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু জাফর জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই আছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার ছোট্ট লাল দাসের একটি একচালা ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘরে থাকা কয়েকটি মাছ ধরার জাল পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম বলেন, যারা ৩০ অক্টোবরের ঘটনার সাথে জড়িত তারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন