হাইকোর্টের পুনঃপুন: নির্দেশনা সত্ত্বেও বায়ূদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা কেন বন্ধ করা হয়নিÑ তার ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকাসহ ৫ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন, রিটকারী ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তলবকৃতরা হলেন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা জেলা প্রশাসক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক। আগামী ১৭ মে তাদের সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ গতকালের শুনানিতে বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ৫টি জেলার ডিসি এর আগে এ আদালতে পৃথক কপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছিল, নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে জেলাগুলোতে তারা অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। কিন্তু গত ১৯ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে বন্ধ হওয়া কিছু অবৈধ ইটভাটা এখন ঢাকা সংলগ্ন সাভারের ধামরাইয়ে চলছে। সেগুলো মারাত্মকভাবে বায়ূদূষণ এবং পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ এবং পরিচালনার জন্য দায়ীদের বিচারের জন্য সরকারকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে হাইকোর্ট গত ১ মার্চ পরিবেশ দূষণ রোধে ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে সব অবৈধ ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনা অনুসরণের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পৃথক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে ২০১৯ এইচআরপিবির দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের শুনানিকালে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। শুনানিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলেছিলেন, ঢাকা ও অন্য ৪টি জেলায় পরিবেশ দূষণ করছে এমন ৩১৯টি অবৈধ ইটভাটা এখনও চালু রয়েছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯৫টি অবৈধ ইটভাটা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকালের শুনানিতে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, ঢাকা দক্ষিণ- সিটি করপোরেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান এবং ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো: মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন