শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়নের অঙ্গীকার পূরণ করেছি

বিমসটেক-এর জ্বালানি মন্ত্রীদের ৩য় বৈঠকে নসরুল হামিদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি বলেছেন, আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব প্রদান করেছি। আমরা ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছি। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি এবং ভবিষ্যতে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়ায় রয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছি এবং দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সরকারের অঙ্গীকার পূরণ করেছি। প্রতিমন্ত্রী গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিমসটেক-এর জ্বালানি মন্ত্রীদের ৩য় বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা পূরণে বিমসটেককে একটি গতিশীল, সংবেদনশীল এবং কার্যকরী আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন সম্মিলিত জিডিপি গ্রোথ, অর্থনৈতিক শক্তি, আর্থসামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থা এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের আলোকে বিমসটেক এর গুরুত্ব বাড়ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কিছু কিছু অঞ্চল উইন উইন কো-অপারেশন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করতে পেরেছে। আমরাও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্যসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো জয় করতে পারব। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ অঞ্চলে সাশ্রয়ী ও গুণগতমানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিমসটেক দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছে। প্রাকৃতিক এবং মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধশালী বঙ্গপোসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন করছি। আমরা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণসহ গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে মহেশখালীতে এফএসআর ইউনিট আমদানি এবং এ অঞ্চলের এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুতের ক্রস বর্ডার ট্রেড এর ওপর সমধিক গুরুত্ব প্রদান করেছি। বহুপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বন্দরের ব্যবহার এ অঞ্চল এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। তিনি বিমসটেক সেক্রেটারিয়েটে একটি ইলাইব্রেরি স্থাপন এবং প্রকৌশলী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পেশাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।

বিমসটেক জ্বালানি মন্ত্রী পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী পাম্ফা ভুশাল। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অগ্রগতি ও অর্জন বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করেন বিমসটেক এর মহাসচিব। সভায় আরো বক্তব্য রাখেনÑ ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের জ্বালানিমন্ত্রী ও ডেলিগেশন প্রধানগণ। এর আগে গত সোমবার বিমসটেক এর জ্বালানিবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তাদের ৫ম বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন