শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রাজারবাগ পীরের পক্ষে হাইকোর্টের রুল

মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২২, ১২:২৩ এএম

মানবপাচার মামলা চলমান অবস্থায় রাজারবার পীর সিন্ডিকেটের বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন প্রদান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ডিভিশন বেঞ্চ রুল জারি করেন। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব, কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশ প্রধান, চাঁদপুর পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে চার দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রাজারবাগ পীরের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আলী মন্ডল। আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আলী মন্ডল বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের পীরের বিরুদ্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে- সেটিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। এ রিটের শুনানি নিয়ে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন আদালত।
এই আইনজীবী আরও বলেন, রাজারবাগ পীরের বিরুদ্ধে রিটকারী ইকরামুল হক কাঞ্চনের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল মোহাম্মদ সোহেল মানবপাচার মামলা করেন। ওই মামলাটি চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। মানবাধিকার কমিশনের আইন অনুযায়ী মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ওই মামলার বিষয়ে কোনো তদন্ত করা যাবে না। অথচ কমিশন সেই কাজটিই করেছে। তাছাড়া কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজারবাগ পীরের প্ররোচনায় আমার মক্কেল নাকি মামলা করেছেন। একটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কমিশন এমন তদন্ত করতে পারে না।
মানবাধিকার কমিশন তার তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, মানবপাচার মামলার আসামি ইকরামুল আহসান কাঞ্চন ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কমিশনের নিকট তার বক্তব্য দিয়েছেন। অথচ এই কাঞ্চন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি মানবপাচার মামলায় কারাগারে যান এবং জামিনে মুক্ত হন ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রশ্ন হচ্ছে ২৫ ফেব্রুয়ারি যদি তিনি জামিন পান তাহলে ১৩ ফেব্রুয়ারি কীভাবে মানবাধিকার কমিশনের কাছে বক্তব্য দিলেন ? তাই ওই প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
এর আগে রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমান ও তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে যেসব সম্পদ রয়েছে তার তালিকা প্রস্তুত করে আয়ের উৎস ও রাজস্ব দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে- এমন ৭ দফা সুপারিশ দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
ওই প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের দাখিল করা সুপারিশ বিবেচনায় নেয়ার নির্দেশ দেন।
কাঞ্চনের রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন