স্টাফ রিপোর্টার : যেভাবেই হোক, যেখানেই হোক, যত কষ্টই হোক বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হবেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাউন্সিল করার পারমিশন আপনারা দেন না। আর কাউন্সিল করতে না পারলেও বিএনপিকে আপনারা হাত দিতে পারবেন না। বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আশির দশকের ১০১ জন ছাত্রনেতা আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব মন্তব্য করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা: মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও রুগ্ন গণতন্ত্র’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়কারী সরওয়ার আজম খান।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা প্রসঙ্গে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, রাষ্ট্রদোহ মামলা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নয়, মামলা হওয়া উচিৎ ছিল যারা বিডিআর হত্যার মত জঘণ্য হত্যাকা-ে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, এই হত্যাকা- কারা ঘটিয়েছে, কোথায় তার আলোচনা হয়েছে সবই আমি জানি। কিন্তু এই মুহূর্তে বলবো না, সেই দিন আসেনি। সময় এলেই সব বলে দেব, এক এক করে সব নাম বলে দেব।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, এদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কার কথা, কার নির্দেশে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? উদ্দেশ্য, সারাদেশে মধ্যে যতটুকু শান্তি রয়েছে তা তছনছ করে দিয়ে গোটা সমাজের মধ্যে হানাহানি লাগিয়ে দেয়া। সময় আসলে সব হিসাব হবে বলে সতর্ক করে দেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি এই নির্বাচনের (ইউপি) পক্ষে না। এ ব্যাপারে আমার মতামত নেয়ার প্রয়োজন কেউ মনে করেনি। এর আগেও আমি আমার মতামত দিয়েছি কিন্তু তখনও আমার মতামত নেয়া হয়নি। পরে বলেছেন আপনারটা ঠিক।
তিনি আরও বলেন, আমি খালেদা জিয়াকে বলেছিলাম উপজেলা নির্বাচন করবেন আপনার দলের ভালো লোক যদি চেয়ারম্যান হয় তাহলে আপনি তাকে হারালেন। কারণ তাকে এলাকার কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের কাছে যেতে হবে, মন্ত্রী, এমপি ও সরকারের কথা শুনতে বাধ্য হবে। তা না শুনলে সে জেলখানায় যাবে।
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, আমার উপজেলায় এখন শতভাগ আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। সে ছিলো আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট। এখন আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। সে আবারও বিএনপির প্রেসিডেন্ট হতে চায়। আমি বলেছি তা হবে না। কিন্তু আমার কথা শোনে না। সে উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার তার সঙ্গে আছে দুই নম্বরি অনেক টাকা আছে। টাকা দিয়ে যা খুশী তা করা যায়। এখন তিনি তাই করছেন।
মধ্যবর্তী নিবার্চন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসিনা থাকতে নির্বাচন হবে না।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, আশির দশকের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. নজরুল হক নান্নু, আবু তাহের তালুকদার, সাইফুদ্দিন খাঁন, অল কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দীন বকুল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন