শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রস্তাব দেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ১৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় হোটেল ওয়েস্টিনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের আগে আজকালের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটি ও জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব অথবা প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিবদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করার বিধান রাখার প্রস্তাব করবেন তিনি। এই সাথে নাগিরক সমাজ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতিÑ এই ৪ স্তর থেকে ১ জন করে কমিশনার নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে খসড়ায়।
আরো জানা যায়, প্রস্তাবনায় নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলেও পদগুলোর বিপরীতে কোনো নামের তালিকা দেয়া হবে না। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে কমিশনার করার প্রস্তাব গতকাল পর্যন্ত খসড়ায় রাখা হলেও বিএনপি প্রধান এখনো চূড়ান্তকরণের সম্মতি দেননি।
রূপরেখা প্রণয়নের সাথে সম্পৃক্ত একজন ইনকিলাবকে জানান, সব দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে উল্লেখিত ক্যাটাগরি থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি সদস্যদের নাম প্রস্তাব করা হবে। সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার পদে নিয়োগ দেবেন প্রেসিডেন্ট।
নাসিক নির্বাচনে যেতে পারে বিএনপি
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অতীতের মতো এই নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে দলটি। শিগগিরই নীতিনির্ধারণী ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। বিপরীত পরিবেশের মধ্যেই অতীতে বিএনপি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে নাসিক নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে তদবীর করেছেন কয়েকজন। নির্বাচন করার জন্য বিএনপির কোনো প্রার্থীকে প্রকাশ্যে মাঠে দেখা যায়নি। তবে আলোচনায় আছেন বিগত সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এ ছাড়াও সাবেক এমপি আবুল কালাম, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রে যোগাযোগ রাখছেন। বিগত সিটি নির্বাচনে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা থাকার পরও আগের রাতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তৈমুর। এ নিয়ে তখন দলের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন