স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে : মারাত্মক দাঙ্গাপ্রবণ রায়পুরার নিলক্ষারচরে আওয়ামী লীগের দুই লাঠিয়াল বাহিনী ও পুলিশের ত্রিমুখী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে মামুন (২২), মানিক (৪৫), খোকন (৩২) ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে শাহজাহান (২৫) নামে ৪ জন নিহত এবং কমবেশি ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আনসার মিয়া (৩৫), মিনু (১৩), দুদমেহের (২৫), ফরিদ মিয়া (৩৫), শিপন (১৮), রুজি (২৮), রাকিব (১৮), শামীম (২০), রবিউল্লাহ (২৫)সহ ১০ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ হয়েছে ১০টি বাড়ী-ঘর। আহত অবস্থায় রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম, এসআই আসাদ ও কনস্টেবল জিল্লুসহ ৬ জনকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অন্যান্য আহতরা পুলিশি ঝামেলা এড়াবার জন্য গোপনে ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শাহজাহানের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে রয়েছে এবং বাকী ৩ জনের লাশ এখনও নিলক্ষারচরের সোনাকান্দী গ্রামে রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে মামুন আমিরাবাদ গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র, মানিক একই গ্রামের আলতু মিয়ার পুত্র ও শাহজাহান একই গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র এবং খোকন সোনাকান্দী গ্রামের আরব আলীর পুত্র। নিহতরা সবাই আব্দুল হক সরকারের সমর্থক বলে জানা গেছে। নরসিংদী সদর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে এসে রিপন ও হৃদয় নামে ২ জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিলক্ষার বিভিন্ন গ্রামের বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছিলো। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ বন্ধ হচ্ছে না।
এদিকে সংঘর্ষের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নরসিংদী জেলা পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্যানেড এবং সবশেষে গুলিবর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ১ জন মারা গেছে। বাকীরা কিভাবে মারা গেছে তা তিনি জানেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন