পাবনার ইছামতি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রশ্নে দেয়া স্থিতাদেশ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাঁধা থাকলো না।
গতকাল রোববার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো: কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন রিটের পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, পাবনার ইছামতি নদীর তীরে ৪টি মৌজায় নদীর জমিতে থাকা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন নোটিশ দিলে ৪৩ জন ব্যক্তি ২০২০ সালে হাইকোর্টে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে আমরা একটি রিট করি। শুনানি শেষে আদালত নদী কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদে স্থিতাবস্থা দেন। ওই আদেশের পর নদী কমিশনের পক্ষে নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান প্রশাসন ও সবার উপস্থিতিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৪৩ ব্যক্তির দখলে থাকা জায়গাকে ইছামতি নদীর জায়গা হিসাবে মতামত দেন। নদী কমিশনের ওই প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে ৪৩ ব্যক্তি হাইকোর্টে আবার রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। এবারের আদেশে আদালত স্থিতিবস্থা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোনো বাঁধা থাকলো না। তিনি বলেন, আজ ওই স্থিতাবস্থা খারিজের আদেশ দেন আদালত। আদালত তার রায়ে বলেন, ঢাকার চারপাশের চার নদীর মামলায় নদীর সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী ধরতে হবে এবং আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল রেখেছেন। নদী কমিশনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এন. এম আহসানুল হক। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এদিকে তুরাগ নদীর মামলয় আপিল বিভাগ নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় এই মামলায় রায় সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন