চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সিডি (কেস ডকেট) দাখিল করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক (অব:) ফরিদ উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। এদিন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন মামলার কেস ডকেট দাখিল করেননি। আদালত আগামী ১২ মে কেস ডকেট দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি সাদিয়া আফরিন শিল্পী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ২ জুন ফরিদ উদ্দিন পিপি অফিস থেকে এ মামলার কেস ডকেট দেন। এরপর থেকে মামলার কেস ডকেট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফরিদ উদ্দিন এ মামলার কেউ নন। সোমবার ফরিদ উদ্দিন আদালতে এসে জানান যে, সিডি খুঁজে পাচ্ছে না। বিচারক তাকে কেস ডকেট খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করার জন্য পিপিকে বলা হয়েছে। এদিকে মামলার আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেসময় তার বাসা থেকে ২২ বোতল বিদেশী মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দু’টি আইফোন ও নগদ ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রির রাতে আশীষ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১০ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচার কার্যক্রম ১৯ বছর বন্ধ ছিলো। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন