ঈদের টানা ছুটিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছেড়ে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে মহানগরী। করোনামুক্ত পরিবেশে মানুষ ছুটছে আপন ঠিকানায়। পবিত্র ঈদের আনন্দ প্রিয়জনদের সাথে ভাগাভাগি করতে নগরীর বাসিন্দাদের বিরাট অংশ এবার গ্রামে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে সড়ক, বাস টার্মিনাল আর রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যায়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্রোতও বাড়তে থাকে। জুমাতুল বিদার পর আরো এক দফা যাত্রীদের ভিড় বাড়ে টার্মিনাল ও স্টেশনে। গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শেষে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। ওই দিন দুপুরের পর থেকে মানুুষ ছুটতে শুরু করে। আগেভাগে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকে অফিস শেষেই ছুটেন স্টেশন টার্মিনালে। ঈদের আগে এবার তিনদিনের ছুটি। পরে তিন দিনসহ ছুটি ছয় দিনের। এরপরও যাত্রাপথের ঝামেলা এড়াতে অনেক সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বৃহস্পতিবার থেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। গতকাল সকাল থেকেই চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীদের অনেকে।
এদিন অতিরিক্ত বগি সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায় ১০টি আন্তঃনগর এবং ৪টি মেইল ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। যাত্রী চাপ সামলাতে গতকাল দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করে। বেলা ১১টায় চাঁদপুর স্পেশাল-১ এবং বিকাল ৩টায় চাঁদপুর স্পেশাল-২ চট্টগ্রাম ছাড়ে। সড়ক পথেও ঘরমুখী মানুষের চাপ ছিলো বেশি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাসের জন্য কাউন্টারে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। নগরীর কদমতলী, অংলকার, একে খান, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন, কর্ণফুলী সেতু এলাকার টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। এসব টার্মিনালে বাসের সঙ্কট ছিলো। এই অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করারও অভিযোগ আছে। পথে পথে নানা ঝক্কি ঝামেলার মধ্যেও মানুষ আপন ঠিকানায় ছুটছেন। গ্রামমুখী এই স্রোত ঈদের আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন