দ্রুত প্রকাশের তাগিদ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজার্ভ চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ড. ফরাস উদ্দিন কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না করায় বিষয়টি নিয়ে জনগণ অন্ধকারে রয়েছে বলেও উল্লেখ করে এ কমিটি। কমিটির বৈঠকে জনমনে বিদ্যামান সন্দেহ সংশয় দুর করতে দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শওকত আলী। কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আবদুর রউফ ও অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সূত্র জানায়, আগের দু’টি বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে ড. ফরাস উদ্দিনের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়নি। এনিয়ে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কমিটির পক্ষ থেকে জানাতে চাওয়া হয়, প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা হলে তা কমিটিতে উত্থাপনে বাধা কোথায়? কিন্তু এবিষয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের এতগুলো টাকা চুরি হলো। তদন্ত কমিটিও হলো। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হবে না। জানি না, কাকে বাঁচাতে এটা করা হচ্ছে। তবে কমিটি প্রতিবেদনটি দ্রুত প্রকাশের তাগিদ দিয়েছে।
এবিষয়ে কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে পত্রিকায় নানা খবর আসছে। এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিবেদনটি না প্রকাশ হওয়ায় জনগণ অন্ধকারে রয়েছে। তাই দ্রুত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়। যাকে বিশ্বের অন্যতম বড় সাইবার চুরির ঘটনা বলা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাবেক গভর্ণর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ৩০ মে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদনটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
কমিটি সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরি ছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী বোর্ডের (বিএএসবি) সার্বিক কার্যক্রম ও বিগত ৫ বছরের অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি বিএএসবিকে দ্রুত একটা আইনী কাঠামোর অধীনে এনে এর সাংগঠনিক কাঠামোকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া বিএএসবি-এর অডিট আপত্তিসমূহ দ্বি-পাক্ষিক বা ত্রি-পাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে আইন সংগতভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন