ইনকিলাব ডেস্ক
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশের গ্রামগুলোতে গত ৫ দিনের হামলায় অন্তত ৬৯ জনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে দেশটি সেনাবাহিনী। নিহতদেরকে তারা সহিংস হামলাকারী বলে বর্ণনা করছে। রাখাইন প্রদেশে সম্প্রতি শুরু হওয়া বিদ্রোহ দমনের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করছে সেনাবাহিনী। অবশ্য সেখান থেকে রোহিঙ্গা সূত্রগুলো বলছে, সেনাবাহিনী সেখানে বেসামরিক অধিবাসীদেরকে হত্যার পাশাপাশি ধর্ষণও করেছে এবং গ্রামের পর গ্রাম তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সেনাবাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা সম্ভবত আরো অনেক বেশী। তাছাড়া সহিংসতা সম্পর্কে কর্মকর্তা যে তথ্য দিচ্ছে তা ধাঁধায় পূর্ণ বলেও উল্লেখ করছেন সংবাদদাতা। গত ৯ অক্টোবর রাখাইনে সীমান্ত চৌকিতে হামলার জের ধরে এই অভিযান শুরু। ওই এলাকায় সেনাবাহিনী এমনকি হেলিকপ্টার গানশিপও ব্যাবহার করেছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সরকারি স্বীকৃতি নেই এবং প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের যে বিবৃতি ছাপা হয়েছে, সেখানে নিহত রোহিঙ্গাদের ‘বাঙ্গালী’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
সোমবার এ বিষয়ক একটি ফেসবুক পোস্ট দেয়া হয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে, যেখানে তিনি ২৩৪ জনকে গ্রেফতারের কথাও উল্লেখ করেন। অভিযানে একজন কমান্ডিং অফিসারসহ ৭ জন সৈন্য এবং ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হবার কথাও উল্লেখ করা হয়।
এই অভিযান নিয়ে গোড়া থেকেই খুবই গোপনীয়তা বজায় রেখে আসছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাখাইন এলাকায় কোন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছিল না এবং ওই এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের অভিযোগ গোড়া থেকেই অস্বীকার করে আসছে সেনাবাহিনী। রাখাইন এলাকায় এখন যেসব তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে তাকে মিথ্যে, ভিত্তিহীন এবং অতিরঞ্জিত বলেও বর্ণনা করছে সেনাবাহিনী। Ñসূত্র : এএফপি ও বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন