গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, এ সরকারের অপরাধের শেষ নেই। জনগণের ভোটচুরি, গুম, হত্যা আর কত অপরাধের কথা বলতে হবে? দুর্নীতিতো পাহাড় সমান। দুর্নীতি করে এতো টাকা যে উপার্জন করেন, এগুলো নিয়ে যাওয়ার জায়গা তো নেই। এগুলো জনগণের টাকা, তাদেরই ফিরিয়ে দিতে হবে। এ সরকারের পতন সময়ের ব্যাপর মাত্র। আসুন সবাই একত্রে রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করি।
রাজধানীর পল্টনে গণ-অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যায় এটা যে মিথ্যা তা ২০১৪-এর দিকে তাকালেই দেখা যায়। আপনারা সামনে বা পেছনের দরজা না, জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার আগামী নির্বাচনে ভোট কারচুপির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে। প্রথমবার বিনা ভোটে, দ্বিতীয়বার রাতের ভোটে আর এবার (আগামী সংসদ নির্বাচনে) ইভিএমে। ইভিএমে ভোট যাকেই দেন না কেন, ভানুমতির খেলায় ভোট গিয়ে নৌকাতে পড়বে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং দুঃখও আছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন, তারপর বুদ্ধি খাটান কীভাবে ভোট করা যায়। আপনি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারেন তাহলে ভালো। আর না দিতে পারলে আপনার নৈতিক দায়িত্ব হবে পদত্যাগ করা। সঠিক কাজটি করতে না পারলে অন্তত ভুল কইরেন না।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর ২ শত মতো দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের শ্রমে-ঘামে আমাদের দেশ গড়া। এই প্রবাসীরাও মুক্তিযোদ্ধা। আমরা যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীন করার জন্য। আর প্রবাসীরা যুদ্ধ করছেন দেশ গড়ার জন্য। আমি আহ্বান জানাবো প্রবাসীরা দেশে আসলে তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতার মতো বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা হোক।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার জিজ্ঞাসা প্রবাসীদের অপরাধ কী? বিদেশে বাঙালিদের লাশ পড়ে থাকে, ভূমধ্য সাগরে লাশ ভেসে থাকে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কী করে? ১৩ বছর ধরে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন। এবার মেহেরবানি করে নামেন। এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচনে যাবে না। যারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করবে তারা জাতীয় বেঈমান।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর বলেন, প্রবাসীরা দেশের বাইরে গেলে অমানবিক কষ্টের শিকার হন, লাঞ্ছনা-বঞ্চনার স্বীকার হয়। সেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসও সেভাবে সহযোগিতা করে না। সব জায়গায় দুর্নীতি ঢুকে গেছে। বিদেশে যেতে যেখানে এক লাখ টাকা দরকার, সেখানে নেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। আমরা আমেরিকায় আমাদের শ্রম বাজার হারিয়েছি। ইউরোপের বাজারও খুব একটা ভালো নয়। অথচ এ মানুষগুলোর উপরেই আমাদের জীবনমান অনেকটা নির্ভরশীল। এখন দেশের মধ্যে একটা চরম সংকট বিদ্যমান। এখানে মানুষের কথা বলার, লেখার, মত দেওয়ার স্বাধীনতা নেই।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. হাওলাদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন