কিছু কিছু মন্ত্রীর স্ত্রীরা মন্ত্রণালয় ও দফতরে তদবির বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির। বিনা ভ্রমণে তিন আত্মীয়ের রেলভ্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেলমন্ত্রীর স্ত্রীকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এমন অভিযোগ করল যাত্রীকল্যাণ সমিতি। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন। অথচ কিছু কিছু মন্ত্রীর স্ত্রীদের আদেশ-নির্দেশ পালনের ফলে বিভিন্ন দফতরের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি এখন আকাশচুম্বী।
মন্ত্রণালয় ও দফতরে মন্ত্রীর স্ত্রীদের হস্তক্ষেপ ও তদবির বাণিজ্য বন্ধের দাবি করে মন্ত্রণালয়ের কাজে স্ত্রীর হস্তক্ষেপের দায় নিয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মন্ত্রীর স্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় ৮-১০ বছর ধরে স্বপদে থেকে টাকার কুমিরে পরিণত হচ্ছে। এতে অনেক দফতর এখন আমলাদের হাতে জিম্মি। ফলে যোগাযোগ সেক্টরে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয়ের কাজের মন্থর গতির কারণে জনবান্ধব অনেক প্রকল্প বিলম্বে হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো কচ্ছপ গতির মন্ত্রণালয়ে একটি জনবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে বছরের পর বছর ফাইল আটকে থাকে। অথচ অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ১০টায় একজন কর্তব্যরত টিটিইকে কীভাবে বরখাস্ত করা হলো, দরখাস্ত কোন সময় গ্রহণ করা হলো, কখন যাচাই-বাছাই করা হলো, কে এই অভিযোগ রিসিভ করলো, কে বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করলো?
সম্প্রতি রেলমন্ত্রীর শ্বশুর বাড়ির তিন আত্মীয় বিনা টিকেটে রেলে পাবনা থেকে ঢাকায় রওনা হন। কিন্তু এসি কেবিনের এই যাত্রীদের কাছে টিকিট না থাকায় রেলের টিটিই তাদের জরিমানা করেন। পরে তাকে বরখাস্ত করা হলে এ নিয়ে চারিদিকে তোলপাড় শুরু হয়।
জানা গেছে, মন্ত্রীর স্ত্রীর অভিযোগে এই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। যদিও সমালোচনার মুখে রবিবার তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করার কথা জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। স্ত্রীর এমন কাজে তিনি বিব্রতবোধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন