নগরীর পাহাড়তলীতে চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোরে পাহাড়তলী এলাকা থেকে মো. হৃদয় ও দিদারুল আলম ওরফে টেডি দিদার নামের এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। রেলের জায়গা দখল ও চাঁদাবাজি নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতার দিদার যুবলীগ কর্মী। তার বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় দুটি হত্যাসহ মোট চারটি মামলা রয়েছে।
গত শনিবার রাতে পাহাড়তলী রেলস্টেশন এলাকায় মো. ফরিদ নামের ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ফরিদের বোন রাশেদা আক্তার ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি ১০ থেকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করেন। আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন আলো নামের একজন রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, পাহাড়তলী কাঁচাবাজার এলাকায় রেলওয়ের জায়গা দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ আসছিল। এর আগে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপশিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেলকে কুপিয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহাম্মেদসহ ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ফরিদ হত্যা মামলার আসামি আলো ও দিদার ওই হত্যা মামলারও অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। মহিউদ্দিনকে খুনের পর তার দখল করা জায়গায় ছয়টি দোকান নির্মাণ করেন ফরিদ। সেখানে একটি গাড়ি ওয়াশের দোকানও দেন তিনি। সেই জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করার চেষ্টা করে আসছেন আলো ও তার অনুসারীরা। তারা চাঁদাও দাবি করেন ফরিদের কাছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন