অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বিদেশিদের দেয়া সম্মাননা ক্রেস্টের স্বর্ণে জালিয়াতির কথা দেশের মানুষ এখনও ভোলেনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেস্টের স্বর্ণে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গতকালের নির্ধারিত বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়িজ রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে এই ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে মানবসম্পদ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির। তিনি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, পেশাগত কাজে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মেধাবী কর্মকর্তাদের স্বর্ণ পদক দেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, গতকাল (বুধবার) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে মেধাবী ৫ ব্যাংক কর্মকর্তাকে স্বর্ণপদক দেয়ার কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, অনিবার্য কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়িজ রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। জানা গেছে, ব্যাংক এমপ্লয়িজ রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পদক বানানোর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টম্যান্টের কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিটি পদকে স্বর্ণ কম দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারের জন্য দুই ক্যাটাগরিতে ২৩ জন কর্মকর্তাকে মনোনীত করা হয়। যা গত ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ৩৬৬তম সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। গতকাল সেই পদক আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়ার কথা ছিল।
এ বছর বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মানের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত কর্মকর্তারা হলেন মো. নাজিম উদ্দিন (যুগ্ম পরিচালক), রণজিৎ কুমার রায় (যুগ্ম পরিচালক), প্রদীপ পাল (যুগ্ম পরিচালক), মাসুমা বেগম (সিস্টেমস এনালিস্ট), মো. আশ্রাফুল আলম (ডিজিএম)। এ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের ১২ গ্রাম ওজনের ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণ পদক দেয়ার কথা ছিল। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানের পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৭ কর্মকর্তাকে দশ গ্রাম ওজনের রৌপ্য পদক ও ২৫ হাজার টাকার প্রাইজ বন্ড দেয়ার কথা ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন