শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : আফ্রো-এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সারাজীবন তিনি নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্যই নয়, তিনি কাজ করে গেছেন ভারতীয় উপমহাদেশসহ সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে। এরমধ্যে তার ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন ইতিহাসে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম রূপকার। সেই সাথে তৎকালীন মুসলিম আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। কিন্তু তার মৃত্যুর পর যথাযথভাবে তাকে সম্মান ও স্মরণ করা হচ্ছে না বলে মনে করেন ভাসানীর মুরিদ ও অনুসারীরা। সেই সাথে সারা বাংলাদেশে ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার আহ্বান জানান তারা।
ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মুরিদানদের পদচারণায় মুখরীত হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার সময় প্রথমে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দিন ভাসানীর মাজারে úুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করবেন। পরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ ছাড়াও মাজার প্রাঙ্গণে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ মালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই দেশবরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন।
মাওলানা ভাসানী তার নির্লোভ সংগ্রামী জীবনে সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, শোষক জমিদারদের উচ্ছেদ, কৃষক সম্মেলন, বঙ্গীয় কৃষক খাতক আইন পাস, সালিশি বোর্ড স্থাপনসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের এমনকি স্বাধীনতার সংগ্রামেও রাখেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন, ফারাক্কার লংমার্চ চির জাগরিক হয়ে আছে তার দূরদর্শিতার নিদর্শন হিসেবে। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন আলোকিত মানুষ গড়ার।
রাষ্ট্রীয়ভাবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা না হলেও ভাসানী ফাউন্ডেশন ও ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। এ উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ভাসানীর অনুসারীরা তার মাজার জিয়ারত ও দোয়া করার জন্য আসছেন এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো করে ওরস মোবারক পালনের আশা করেন তারা।
ভাসানী পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি নিজের স্ত্রী-সন্তানদের জন্য এমনকি কোনো আত্মীয়স্বজনের জন্যও কিছু করেননি। তিনি সবকিছুই করেছেন এ দেশের মানুষের জন্য। ভাসানির মৃত্যুদিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার দাবি জানান তারা।
আগামীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিপীড়িত মানুষের নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুদিবস পালন করবে রাষ্ট্র এমনটাই প্রত্যাশা করেন ভাসানীর অনুরাগীরা।
মওলানা ভাসানী
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) ভাসানীর মৃত্যু দিবস উপলক্ষে আজ “স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার” র্শীষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। জাতীয় পার্টি তার মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে শাহবাগ জাদুঘরের সমানে আলোচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিকালে শাহবাগে গণসংগীত ও গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাপের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশের ওয়াকার্স পাটি ও বাংলাদেশ গরীব মুক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন