রংপুর জেলা সংবাদদাতা : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না। তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার কে জানো তো? আমাদের কি ভোটার আছে? নেই। তাহলে নির্বাচন করে লাভ কী? জাতীয় পার্টির এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি গতকাল (বুধবার) দুপুরে ৩ দিনের সফরে রংপুরে এসে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক এমপি জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফি, সাবেক কাউন্সিলর আজমল হোসেন লেবুসহ প্রমুখ নেতাকর্মী।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমার কোনো শাস্তি হবে না। যারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাদের শাস্তি দেখার অপেক্ষায় আছি। আমার নামে মামলা দিয়েছে বিএনপি। এ মামলায় আমার কিছু হবে না। অপেক্ষায় আছি যারা আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে তাদের মামলা কবে হবে। শাস্তি কবে পাবে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এরশাদ আরো বলেন, নাসিরনগরে কি হয়েছে, কারা ভাঙচুর করেছে সবাই তা জানে। পুনরায় সে কথা বলতে চাই না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কি না এ বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। সেখানে আমাদের কোনো ভালো প্রার্থী নেই। সেখানে আওয়ামী লীগের শক্তি অনেক বেশি। সে জন্য নির্বাচন করলে জিততে পারব কি না সন্দেহ আছে। তবুও আমার এমপি আছে তার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, তারা খুব দুঃখী মানুষ। ব্যাপারটা নিয়ে আমরা দুঃখিত। যদিও বোধহয় জমিটা সুগার মিলের। তবুও তাদের একটা ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তারা তো হ্যান্ড টু মাইথ। অনেক কষ্টে দিনযাপন করে।
তারা সবচেয়ে অবহেলিত উপজাতি। অনেকে গেছেন। সেখানে তার দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। তাদের জন্য পুনর্বাসন করা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। আশা করছি সরকার এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন