সুপ্রিম কোর্টের রায় অগ্রাহ্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার ভেতর এবং ঝিলঙজা মৌজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তের কারণে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে আদালত অবমাননার নোটিশ দেয়া হয়েছে। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জনস্বার্থে গতকাল মঙ্গলবার এই নোটিশ দেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ৭ জুন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় নির্মিত স্থপনা অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার-টেকনাফ সৈকত এলাকার ঝিলঙজা মৌজা এলাকাকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। পরে সরকার হোটেল-মোটেল জোন এলাকার কতিপয় স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা দিলে হোটেল মালিকরা রিট করেন। শুনানি শেষে সেই রিট খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্ট ওই স্থানকে ‘পাবলিক ট্রাস্ট’ ঘোষণা করে সমুদ্র সৈকত রক্ষার নির্দেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হোটেল মোটেল মালিকরা আপিল করলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়। পরে পৃথক ৩টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করলে খারিজ হয়ে যায় সেগুলোও। আপিল বিভাগ তার রায়ে ঝিলঙজা মৌজায় স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন।
এ রায়ের নির্দেশনার আলোকে সমুদ্র সৈকত এলাকা বা কক্সবাজার ঝিলঙজা মৌজার পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্প প্রণয়নের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরিবেশবাদী সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ লিগ্যাল নোটিশ দেন। নোটিশে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার,কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বার্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামীকে বিবাদী করা হয়। প্রাপ্তির ৭২ ঘন্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয় নোটিশে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন