বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ত্রিশালে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ত্রিশাল উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ত্রিশালে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মো: বাদল এবং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল বারীর মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে আব্দুল বারীর লোকজন অস্ত্রসহ বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামের মোল্লাবাড়িতে গোলাম মো: বাদল বাদলের সমর্থক ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করে। ৩০-৩৫ জন হামলাকারী মোল্লাবাড়ির লোকজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের তা-বে ও ভয়ে নারী-শিশুরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। হামলায় সাইফুল মোল্লা (৪০), হুমায়ুন মোল্লা (৩৪), হারুন মোল্লা (২৭) ও শরিফুল মোল্লা (২৮) গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সাইফুল মোল্লা (৪০) নিহত হন। গুরুতর আহত অন্য ৩ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে যুবলীগ নেতা আব্দুল বারীর বড় ভাই আব্দুল বাতেনকে (৪৫) এলকাবাসী ধরে গণপিটুনি দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
বালিপাড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মো: বাদল জানান, গত ৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছিল তা স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। গত মঙ্গলবার যুবলীগ একটি সভা করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। এ ঘটনার জের ধরেই আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা করে যুবলীগ। এ হামলায় ১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়। হামলা ও হত্যার জন্য তিনি যুবলীগকে দায়ী করেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন