গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। এর গতিবেগ আগে ‘প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় আকারে ঘণ্টায় ৮৯ থেকে থেকে ১১৭ কি.মি. থাকলেও এখন তা ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। এটি ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রমের পথে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার অতিক্রম সম্পন্ন হতে পারে। ‘অশনি’র প্রভাবে সাগর এখনও উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাছাড়া দেশের প্রধান নৌ-বন্দরসমূহে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। ‘অশনি’র প্রভাবে আকাশ মেঘলা ও উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ভারতের অন্ধ্র উপকূল ও এর সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আগের দিক (পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম) পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে অন্ধ্র উপকূল ও এর সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
গতকাল দুপুরে ‘অশনি’ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩শ’ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে।
‘অশনি’র কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘অশনি’র কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন