দুই দিনের সরকারি সফরে ইসলামাবাদ অবস্থান করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগোন। গত বুধবার বিকালে তিনি পকিস্তান এসে পৌঁছান। এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি। এছাড়াও পাকিস্তানে এরদোগানের এই রাষ্ট্রীয় সফরের মধ্যদিয়ে দেশ দুটির মধ্যে আফগানিস্তান ও বিতর্কিত কাশ্মির ইস্যুতে একযোগে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের পাকিস্তানে স্ত্রী এমিনিসহ দেশটির ঊর্ধŸতন কর্মকর্তারা এবং একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এরদোগানের সফরসঙ্গি হয়েছেন। ইসলামাবাদের নূর খান বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এরদোগান ও তার সফরসঙ্গিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় ফার্স্ট লেডি কুলসুম নওয়াজ, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা মরিয়ম নওয়াজ এবং তার ছোটভাই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কে চার মাস আগে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পর এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোগান প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর করছেন। পরে তুর্কি নেতা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বসেন। এসময় এরদোগানকে প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির প্রস্তাব দেন। এরদোগান এ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে বলে প্রেসিডেন্সি কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এর ফলে বন্ধুপ্রতিম দুটি মুসলিম দেশ পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত সুবিধা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রস্তাবটি কার্যকর হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে সামরিক শক্তির ভারসাম্য অনেকাংশে ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশ দুটি ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা খাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তুরস্ক ‘খালিদ শ্রেণীর’ কয়েকটি ডুবোজাহাজ দিয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা করছে এবং দুইপক্ষই একটি নৌবহর ট্যাঙ্কার নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করছে। এছাড়াও, তুরস্ক পাকিস্তান থেকে এমএফআই-১৭ সুপার মাশহুক বিমান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছাড়াও, দুই নেতা আফগানিস্তান ও কাশ্মীরসহ আঞ্চলিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ডন নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন