জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে বাঙালির আত্মমর্যাদা ফিরে এসেছে। তাঁর ফিরে আসার সঙ্গে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে এসেছে। ফিরে এসেছে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের সকল পথ। আমরা ফিরে পেয়েছি ভাত এবং ভোটের অধিকার। বাঙালি খুঁজে পেয়েছে বিশ্বদ্যালয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুন:প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের উত্তরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, সব হারা একজন মানুষ হিসেবে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলেন। তিনি যখন ফিরলেন তাঁর সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়কের হত্যাকারীরা আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল, বিদীর্ণ করতে চেয়েছিল আমাদের পতাকাকে। সেইসব চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি পুরোটা পথ একা হেঁটেছেন। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ হেঁটেছে। নানা চাপ এসেছে কিন্তু শক্তভাবে সবকিছু সামাল দিয়েছেন। সেই পথ হাঁটায় তিনি বিজয়ী। সেই পথ হাঁটায় প্রতিষ্ঠা পায় আত্মমর্যাদার পদ্মাসেতু। সেই পথ হাঁটায় বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করা যায়, একাত্তরের পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যায়, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যায়। এসব তিনি একক নেতৃত্বে করেছেন। তিনি চেয়েছেন বাংলাদেশকে স্বাধীন শক্তির উপর দাঁড় করিয়ে আগামী প্রজন্মকে সুন্দর একটি পৃথিবী উপহার দিতে।’
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, বাঙালির যে অকুণ্ঠ সমর্থন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু পরিবার পেয়েছে- সেটির মধ্যে যদি দুর্নীতি, অসততা, পেছন থেকে সরে দাঁড়ানো না থাকে, খন্দকার মোশতাকরা জন্ম না নেয়- তাহলেই শেখ হাসিনার জন্য অনেক কিছু করা হয়। আসুন, আমরা সেই শপথ গ্রহণ করি- আমাদের মধ্যে যেন আর কোনো খন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়া, এরশাদ, মঈন উদ্দিনরা জন্ম নিতে না পারে। সেটি যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে শেখ হাসিনার জন্য আর কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। একটি স্লােগানই পারে সেটি নিশ্চিত করতে-জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন