শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শেষ হওয়ার পথে একেএম নাসিম ওসমান সেতু

কাজ বাকি ১০ শতাংশ

মো. হাফিজুর রহমান মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

শীতলক্ষ্যার ওপর দিয়ে একটি সেতু হবে, তার ওপর গাড়ি চড়ে ফিরবে বাড়ি বন্দরের মানুষের এ স্বপ্ন বহুদিনের। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘একেএম নাসিম ওসমান’ সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পথে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেতুটি বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জ সদরের সঙ্গে বন্দর উপজেলার সংযোগ ঘটবে। একই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হবে। এরই মধ্যে সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৩ সালে সেতু খুলে দেয়া হতে পারে।
বর্তমানে প্রতিদিন বন্দর উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষকে প্রতিদিন নৌকা ও ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জ সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে থাকে এই অঞ্চলের মানুষ। তাই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। কিন্তু নানা সংকটের কারণে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর কাজ শুরু হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের এই সেতুটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারটি খুঁটিকে ভিত করে দাঁড়িয়ে আছে মূল সেতু। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মোট ৩৩ স্প্যান বসেছে সেতুতে। এখন দ্রুত গড়িতে চলছে সেতুর সাথে সড়কের সংযোক্ত করণের কাজ। দেশি-বিদেশি দেড় শতাধিক কর্মী এখানে কাজ করছেন। জিজ্ঞাসা করতেই সেতুর নিচে (কয়লাঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষায়) দাঁড়িয়ে থাকা বন্দরের বাসিন্দা ফারুক হোসেন চোখে মুখে আশা নিয়ে বলেন, সেতুটি চালু হলে দীর্ঘ ভোগান্তির পরিত্রাণ ঘটবে।
আর মাসুম নামের অপর এক ব্যক্তি জানান, সেতুটি নারায়ণগঞ্জের চরসৈয়দপুর প্রান্ত থেকে বন্দর প্রান্ত পর্যন্ত সেতুবন্ধন তৈরি করবে। প্রকল্পের ব্যাপারে কোনো কিছু জানাতে নারাজ সহকারী প্রকল্প পরিচালক সিদ্দিকুর মাসুদ। তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকল্পের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৩ সালে সেতু খুলে দেওয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আজকে নাসিম ওসমান সেতুর কাজ দেখে মনটা ভাল হয়ে গেছে। বন্দরের চেহারা পাল্টে যাবে, জমি গুলো বিক্রি করে দিয়েন না।
শীতলক্ষ্যার ওপর দিয়ে একটি সেতু হবে, তার ওপর গাড়ি চড়ে বাড়িতে ফিরবে বন্দরের মানুষের এ স্বপ্ন বহুদিনের। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একেএম নাসিম ওসমান সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পথে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেতুটি বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জ সদরের সঙ্গে বন্দর উপজেলার সংযোগ ঘটবে। একই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Md Mostafizur Rahman ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৩ এএম says : 0
বন্দর বাসিদের তেমন একটা লাভ হবে না আমার মনে হয়।
Total Reply(0)
Md Jakir ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৪ এএম says : 0
আমাদের জন্য একটা বিশাল পাওয়া
Total Reply(0)
Md Jakir ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৪ এএম says : 0
আমাদের জন্য একটা বিশাল পাওয়া
Total Reply(0)
Delowar Hossain Shapan ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৪ এএম says : 0
ব্রীজের পিলারগুলো সৌন্দর্য হয় নাই মনে হলো আগের মডেলের যেইরকম বিল্ডিং প্লানিং কাজ করে। বর্তমানে যুগের নিত্য নতুন স্টাইলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় নাই।
Total Reply(0)
Rajon Hasan ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৫ এএম says : 0
এতে করে সাধারণ মানুষের লাভটা কি হল 1 থেকে 2 লক্ষ মানুষ বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে যারা পারাপার হয় প্রতিদিন, তাদের কোনো কাজেই আসবে না এই ব্রিজ হওয়াকে কেন্দ্র করে।
Total Reply(0)
Abdul Hoq ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৫ এএম says : 0
এগুলো জারা দেখেনা বলে কিছুই করতে পারিনি সরকার সেই জালেমদের হয় চোখের পাওয়ার দাও আল্লাহ না হয় তাদের অন্ধ করে দাও ধন্যবাদ জানাই সরকার কে
Total Reply(0)
Imran Hossain ১৭ মে, ২০২২, ৩:৩২ পিএম says : 0
মাঝিদের অবস্থা কি হবে। তাদের তো সরকারি ভাবে কি করা দরকার ছিল।
Total Reply(0)
ইমরান হোসাইন ১৭ মে, ২০২২, ৩:৩৬ পিএম says : 0
মাঝিদের অবস্থা কি হবে
Total Reply(0)
Salma Begum ১৭ মে, ২০২২, ৯:৩০ এএম says : 0
বন্দ খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১/১.৫ লক্ষ লোক নারায়ণগঞ্জ -বন্দর পারাপার হয়, এই ব্রীজ অবশ্যই মাইলফলক কিন্তু খেয়া পারাপারের লোকজনের কোন কাজে আসবে না। নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল-বন্দরঘাট অথবা ৫ নং ঘাটে ব্রীজ হলে নৌকা দিয়ে খেয়া পার হতে হতো না।
Total Reply(0)
Shah Alam ১৭ মে, ২০২২, ৯:৩০ এএম says : 0
বন্দ খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১/১.৫ লক্ষ লোক নারায়ণগঞ্জ -বন্দর পারাপার হয়, এই ব্রীজ অবশ্যই মাইলফলক কিন্তু খেয়া পারাপারের লোকজনের কোন কাজে আসবে না। নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল-বন্দরঘাট অথবা ৫ নং ঘাটে ব্রীজ হলে নৌকা দিয়ে খেয়া পার হতে হতো না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন