ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সংগঠনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ নবেম্বর রোববার। এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস। প্রসঙ্গত, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক হওয়ার (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) আগ পর্যন্ত ডিএসইর পর্ষদ মূলত তাদের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর পর্ষদে ব্রোকারদের প্রতিনিধিত্ব এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। পরবর্তীতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ফোরাম হিসেবে ২০১৪ সালে যাত্রা করে ডিবিএ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে বর্তমানে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন না। তবে এই নির্বাচনে ডিএসইর সাবেক সভাপতি, সহ-সভাপতি ও পরিচালক ছাড়া হেভিওয়েট কয়েকজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। ফলে নবীন-প্রবীণের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এই নির্বাচন। ফোরামটির পরিচালক পদে চ‚ড়ান্ত মনোনয়ন নিয়েছেন ১৯ জন। ডিএসইর সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তাদের মধ্য থেকে ১৫ জন ডিবিএর পরিচালক নির্বাচিত হবেন। পরিচালকরা ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ডিবিএর দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সংগঠনের সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। ২০ নভেম্বর ডিএসই লবিতে সকাল ১০টায় ডিবিএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। ভোটাররা তার পরিবর্তে অন্য কাউকে ভোট দেয়ার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ১৫ নভেম্বর বিকাল ৪টার মধ্যে প্রক্সি ফরম জমা দিতে হবে। নির্বাচনের জন্য একটি কমিশন ও আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হারুন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেনÑ গেøাব সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান ও এম অ্যান্ড জেড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন আলী সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান এম আকবর আলী। তিন সদস্যবিশিষ্ট আপিল বোর্ডের বাকি দুই সদস্য হলেনÑ মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল উদ্দিন ও ফিনিক্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কাদের চৌধুরী। পরিচালক নির্বাচনে প্রার্থীদের চ‚ড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন পিপলস ইক্যুইটির কবির আহমেদ, সাদ সিকিউরিটিজের মোঃ দেলোয়ার হোসেন, শহিদুল্লাহ সিকিউরিটিজের শরিফ আনোয়ার হোসেন, মডার্ন সিকিউরিটিজের খুজিস্তা নূর ই নাহরিন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজের ডা. জহিরুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের মোস্তাক আহমেদ সাদেক, গেøাবাল সিকিউরিটিজের রিচার্ড ডি রোজারিও, কান্ট্রি স্টক বাংলাদেশ লিমিটেডের খাজা আসিফ আহমেদ, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের আহমেদ রশিদ, শ্যামল ইক্যুইটি মানেজমেন্ট লিমিটেডের সাজেদুল ইসলাম, ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজের ওয়ালি উল ইসলাম, ডিবিএল সিকিউরিটিজের মোঃ আলী এফসিএ, রাস্তি সিকিউরিটিজের সৈয়দ রিদওয়ানুল ইসলাম, এরিস সিকিউরিটিজের মোঃ মাসুদুল হক, রয়েল গ্রীন সিকিউরিটিজের আব্দুল হক, থিয়া সিকিউরিটিজের মাহবুবুর রহমান, ই-সিকিউরিটিজের এম মোয়াজ্জেম হোসেন, কে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কনসালট্যান্ট লিমিটেডের দিল আফরোজ কামাল ও শাহেদ সিকিউরিটিজের শাহেদ আব্দুল খালেক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন