শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শফিউল আলম প্রধানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরণ সভা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার, গণমানুষের অধিকারক আদায়ের আপোষহীন রাজনীতিক, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম রুপকার জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন সিংহ পুরুষ। ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে লড়াকু ভূমিকা পালন করেন। গণমানুষের বিভিন্ন অভিকার আদায়ের দাবিতে প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় এই রাজনীতিবিদকে জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। দেশের ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন শফিউল আলম প্রধান। তিনি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সিংহপুরুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
শফিউল আলম প্রধানের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে। তিনি তৎকালীন প্রাদেশিক পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পীকার অ্যাডভোকেট মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধানের সন্তান। ছাত্রজীবনে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। করতেন ছাত্রলীগ। ১৯৬৮ সালে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের নির্বাচিত জিএস এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রলীগের পক্ষে ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেভেন মার্ডারে তাকে আসামী করা হয়েছিল। শফিউল আলম প্রধান ১৯৭৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) গঠন করেন। এই জাগপার ব্যানারে তিনি দেশ মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী এবং দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি রাজপথের আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি, দহগ্রাম আংগুরপোতা লংমার্চ, টিপাইমুখ বাঁধের বিরোধিতা, বেরুবাড়ী লংমার্চ, ইয়াসমিন হত্যা আন্দোলন, সীমান্ত হত্যাসহ নানাবিধ ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর আন্দোলন করেছেন। এ জন্য প্রতিটি সরকারের শাসনামলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম গ্রহণ করলেও দেশ-মাটি ও মানুষের অধিকার আন্দোলনের কারণে তিনি কঠিন জীবন পার করেছেন। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো সাধাসিদে জীবন যাপন করতেন।
শফিউল আলম প্রধানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। অতপর বনানীতে মরহুমের কবরে দোয়া এবং পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাগপা নেতৃবৃন্দ। মরহুমের কন্যা জাগপা সভাপতি ব্যারিষ্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, শফিউল আলম প্রধানের শূন্যতা দেশের জনগণ মর্মে মর্মে অনুভব করছে। তিনি বেঁচে থাকলে বর্তমান রাতের ভোটে নির্বাচিত স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাতে হুংকার দিয়ে আন্দোলনে মাঠে নামতেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন