ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দেওয়া নিয়ে জোটের মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের সাথে ফোনালাপ হয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের। শনিবারের আলাপে এরদোগান বলেন, তুরস্কের উদ্বেগজনক বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্রদের সমর্থন সত্ত্বেও সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান ইতিবাচকভাবে দেখবে না আঙ্কারা। রবিবার প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। গত সপ্তাহে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের পদক্ষেপের বিরোধিতার ঘোষণা দিয়ে ন্যাটো মিত্রদের কিছুটা অবাক করে দেয় তুরস্ক। কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারে সুইডেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আঙ্কারা। এসব যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে বিবেচনা করে আসছে তুরস্ক। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভুত্থ্যানে জড়িত ফেতুল্লাহ গুলেনকেও আশ্রয় দিয়েছে সুইডেন। অন্যদিকে তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেও আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা। ন্যাটো মহাসচিবকে এরদোগান বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড মৌলিক বিষয়ে যতক্ষণ না পরিষ্কার মনোভাব দেখাবে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধ লড়াইয়ে তুরস্কের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবে, ততক্ষণ আমরা এই দেশগুলোর ন্যাটোর সদস্য হওয়া ইতিবাচকভাবে দেখবো না। টুইট বার্তায় স্টলটেনবার্গ বলেন, আমাদের মূল্যবান মিত্র এরদোগানের সাথে আলাপ হয়েছে। আমরা একমত যে, সব মিত্রদের নিরাপত্তা উদ্বেগ অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত এবং সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, তুরস্কের উদ্বেগ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে। এদিকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটো জোটে যোগদান নিয়ে তুরস্কের মনোভাব ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে আঙ্কারার সাথে কথা বলেছে এবং আত্মবিশ্বাসী রয়েছে যে বিরোধ অচিরেই নিরসন সম্ভব হবে। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন