শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ১:৪৬ পিএম

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মঙ্গলবার (২৪ মে) গণভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দেন। আর এ সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং নামকরণের সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবন যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোল হার নির্ধারণ করা হয়। ১৭ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোল হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বড় বাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং মাঝারি ট্রাকে লাগবে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার বা জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা, ছোট বাসে (৩১ আসন বা এর কম) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি) ২ হাজার টাকা, বড় বাসে (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ছোট ট্রাকে (৫ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (৫ টনের বেশি থেকে ৮ টন) ২ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (৪ এক্সেরল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা ও ট্রেইলার (৪ এক্সেলের বেশি) ৬ হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলে এক হাজার ৫০০ টাকা করে যোগ করে টোল দিতে হবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ।

সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৪ মে, ২০২২, ৪:১৪ পিএম says : 0
এই পদ্ধাসেতু বাংলাদেশের বিশালাকার আত্মমর্যার সম্মানের নাম। বিশ্বব‍্যাংক দাতাদের ষড়যন্ত্রকারীরা উন্নয়ন প্রকল্পটি বন্ধ গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে প্রকল্প বাতিল করেদিল। কাল্পনিক দূন্নীতির অজুহাতে। ষড়যন্ত্রকারীদের মুলহোতা ডক্টর ইউনুছকে নিয়ে হিলারি কে দিয়ে বিশ্বব‍্যাংক প্রকল্পটি বাতিল করেছিলেন দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী হাসছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ ও বিশ্বাস করেছিল আর পদ্ধাসুতু হবেনা। এত বিশালাকার অর্থ বাংলাদেশের নেই। একজন মানুষ বঙ্গবন্ধুর রক্তের স্রোতধারা শক্তিশালী আওয়াজ পদ্ধাসেতু হবে। এবং বাংলাদেশের অর্থ দিয়েই হবে। দাতাদেশ বিশ্বব‍্যাংক আইএমএফ এডিবির সাহায্য ছাড়াই। কল্পনা কে হার মানিয়েছেন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা আগামী ২৫শে জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। হাজার হাজারো গাড়ির চলাচল হবে। দেশের জিডিপি 2% যোগান দিবে। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে সেদিন আন্তর্জাতিক চ‍্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিল বলেই আজকের পদ্ধাসেতু বাংলাদেশের বুকে। একেই বলে জাতীয় নেতা। এই মহান মা আজ বিশ্ব মানবতার মা।ভয়ানক মহামারীতে দেশের আটার কোটি মানুষের জীবন বাচাতে মাতৃত্বের স্নেহে হাজার হাজার কোটি টাকার কোটি কোটি টিকা বিনা পয়সায় দেশের তৃণমূল শহর বন্দরে গ্রামগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন। কিয়ামতের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে আবারো এই দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হলো।বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা সত্যিকার অর্থে মানবতার মা। দক্ষিণ এশিয়াই বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার ভীশনারি নেতৃত্ব উন্নয়ন অগ্রগতি জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন