শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলোর জন্য পৃথক উৎপাদন নীতিমালা নেয়া হতে পারে এমন আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার পণ্যটিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মার্কেটওয়াচ জানায়, অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন নিয়ে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এতে পণ্যটির উত্তোলন নিয়ে বিভিন্ন দেশকে কোটা সুবিধা দেয়া হতে পারে। এর ফলে কোনো কোনো দেশে পণ্যটির উত্তোলন বাড়তে পারে। অন্যদিকে ডিসেম্বরে সুদহার বাড়াতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ। সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে পণ্যটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তত বাড়ছে। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডবিøউটিআই) দাম ব্যারেলে ১৫ সেন্ট কমেছে। এদিন ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে দশমিক ৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ডবিøউটিআই বিক্রি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৪২ ডলারে। বুধবার ব্যারেলপ্রতি ডবিøউটিআই বিক্রি হয়েছিল ৪৫ দশমিক ৫৭ ডলারে। লন্ডনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট অয়েলের দাম কমেছে ব্যারেলে ১৪ সেন্ট। এদিন আগামী বছরের জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট অয়েল বিক্রি হয় ৪৬ দশমিক ৪৯ ডলারে। বুধবার পণ্যটি বিক্রি হয়েছিল ৪৬ দশমিক ৬৩ ডলার দরে। জ্বালানি তেলের দরপতন সম্পর্কে ক্লিপারডাটা’র তেল বিশ্লেষক ট্রয় ভিনসেন্ট বলেন, ‘ওপেকের বৈঠকে পণ্যটিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফেরাতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শক্তিশালী ডলারের কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ‘এ কারণে বিশ্লেষকরা একমত হয়েছেন যে, ওপেক পণ্যটির উত্তোলন নিয়ে কোনো নতুন চুক্তি করতে পারে। কোনো উত্তোলক দেশের ওপর প্রভাব না খাটিয়ে এ চুক্তি করা ওপেকের জন্য অনেক সহজ কাজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চুক্তিতে পণ্যটির উত্তোলন নিয়ে এক এক দেশের ক্ষেত্রে হয়তো এক এক রকম নীতি প্রয়োগ করা হবে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে ওপেক। কিন্তু শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলোর মধ্যে দ্ব›েদ্বর কারণে এখন পর্যন্ত শীর্ষ এ সংস্থার সফলতা বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন